image009বন্দুকযুদ্ধের নামে বেছে বেছে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের ঠাণ্ডামাথায় হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেশে বিদেশে তীব্র সমালোচনার মুখে যৌথবাহিনী তার কৌশলে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে বলে মনে হচ্ছে। নির্বাচনের পরপরই কয়েকদিন ‘গণহারে’ বন্দুকযুদ্ধের গল্প প্রচার করে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হলেও এখন কিছু অভিযুক্ত সন্ত্রাসীকেও হত্যা করা হচ্ছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বন্দুকযুদ্ধের কাহিনী নিরস হয়ে যাওয়ায় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কথিত কাহিনীর বিশ্বাসযোগ্যতা শূন্যের কোঠায় নেমে যাওয়ায় এখন কিছু সন্ত্রাসীকে হত্যা করে এই ব্যবস্থাটিকে জায়েজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বরিশাল শহরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও যুবলীগ নেতা ফারুক আহম্মেদ ওরফে পানামা ফারুক কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এরপর গতকাল আবার কথিত বন্দুকযুদ্ধে যশোরের আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী ও মেসবাহ বাহিনীর প্রধান মেসবাউর রহমান নিহত হয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর আগে নিরাপত্তা বাহিনী বিএনপি-জামায়াতের অনেক জনপ্রিয় নেতাকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করে নিন্দা কুড়িয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধের গল্প কারও কাছেই গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু নিহত ব্যক্তির ক্ষেত্রেই নিরাপত্তা বাহিনী বন্দুকযুদ্ধের গল্প প্রচার করে। অথচ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে গত ৫ বছরে তারা অস্ত্র উদ্ধার করেছে এমন দৃশ্য দেখা যায়নি। তাছাড়া সরকারির দলের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ প্রায়ই অস্ত্রের মহড়া দিলেও নিরাপত্তা বাহিনী তাদের স্পর্শ করারও সাহস রাখে না।

পর্যবেক্ষকদের ধারণা, এ অবস্থায় নিন্দিত এই ব্যবস্থাকে জায়েজ করতেই কিছু সন্ত্রাসীকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হচ্ছে, যাতে মনে হতে পারে যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সত্যিই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটছে। তবে মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মী হোক কিংবা অভিযুক্ত সন্ত্রাসী—কাউকেই বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার অধিকার নেই নিরাপত্তা বাহিনীর।

সুএ-আদে