fokrul-islam-02_10245_0.fokrul-islam-02_1100
বাকশালী শাসনের পরিণতি হয়তো ভুলে গেছে আলীগ

একদলীয় বাকশালী শাসনের পরিণতি কী হয়, তা হয়তো আওয়ামী লীগের স্মৃতি থেকে মুছে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জনগণের ওপর নিরন্তর পৈশাচিক আক্রমণ ও বর্বরতার খেসারত আওয়ামী লীগকে শিগগির দিতে হবে। দলের যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানকে কারাগারে প্রেরণের নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, অবৈধ সরকারের নির্মম এবং স্বেচ্ছাচারিতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দেশবাসী যখন সোচ্চার, তখন তারা আরও বেপরোয়া ও উন্মত্ত হয়ে উঠেছে। হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পরও নিু আদালত কর্তৃক জামিন বাতিল করে আমানকে কারাগারে প্রেরণের মাধ্যমে সরকার তার গণবিরোধী রূপকে আরও তীব্রতর করল। আমান উল্লাহ আমানের জামিন বাতিল এবং তাকে কারাগারে প্রেরণের ঘটনা সরকারের প্রতিহিংসারই বহিঃপ্রকাশ। তিনি অবিলম্বে আমানের মুক্তির দাবি করে বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার জুলুম-নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় বিরোধীদলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, গ্রেফতার এবং তাদের রিমান্ডে নিয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন করে যাচ্ছে। এর একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা যাতে সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা ও গণবিরোধী কার্যকলাপসহ দুর্বিনীত দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম না হয়। ফখরুল বলেন, বিরোধী দলের ওপর পাশবিক আক্রমণ চালিয়ে চিরকাল ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার লক্ষ্যে সরকারের অদূরদর্শী ও ন্যক্কারজনক সব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ। জনগণের আন্দোলনের জোয়ারেই এই অবৈধ সরকারের বিদায় নিশ্চিত হবে।

এদিকে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ আমানকে কারাগারে পাঠানোর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিরোধী দল বিনাশের জন্য নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের জন্য তাদের কারাগারে নেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আমানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাদের পাইকারি গ্রেফতার করা হচ্ছে। গুম ও খুন অব্যাহত আছে। দেশে আইনের শাসন নয় হুকুমবাদের চর্চা হচ্ছে। র‌্যাব, পুলিশ ও প্রশাসন সবাই শুধু এক ব্যক্তির হুকুমই পালন করছে। রিজভী বলেন, মুক্তি পাওয়ার পর গ্রেফতার করে নেতাকর্মীদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে। যারা টাকা দিতে অক্ষম তাদের কারাগারে ফের পাঠানো হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী আহমেদ বলেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত করতে সুপরিকল্পিতভাবে আইনশৃংখলা বাহিনীকে ষড়যন্ত্রের সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে এখন অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাস চালাচ্ছে। সরকার সমর্থনপুষ্ট কিছু গণমাধ্যম বিরোধী দলের আন্দোলন দমনে হেট ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে।