National-Parliament-of-Bangladesh_jpg
সংসদে আল-কায়েদার বার্তা নিয়ে আলোচনা– বিএনপি-জামায়াতের কথা জাওয়াহিরির বক্তব্যে

আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরির বার্তার সঙ্গে বিরোধী দল বিএনপি-জামায়াতের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে তা তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন সরকারি দল ও মিত্র সাংসদরা।

আজ রোববার জাতীয় সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় আওয়ামী লীগ, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও তরীকত ফেডারেশনের সদস্যরা এ দাবি তোলেন। আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসা জাতীয় পার্টির প্রতি সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ নেতা মোহাম্মদ নাসিম আহ্বান জানালেও তাঁরা সাড়া দেননি।
আলোচনায় জাওয়াহিরির বার্তাকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করা হয়। এ ছাড়া বিদেশি কূটনীতিকদের কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে মাগরিবের নামাজের পর আওয়ামী লীগের সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম জাওয়াহিরির বার্তা নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজতের কথাই জাওয়াহিরির বক্তব্যে ফুটে উঠেছে। বিএনপি-জামায়াত তালেবানের দোসর। খালেদা জিয়া ও জাওয়াহিরি এক।
শেখ সেলিম যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে চাইলে আওয়ামী লীগের পক্ষে অবস্থান নিতে হবে। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবেন না। আপনাদের চলাফেরা সীমিত। এক নেত্রীর সঙ্গে দিনে চারবার দেখা করেন। ষড়যন্ত্র করে কিছু করতে পারবেন না। ৭১ সালেও পারেননি।’
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিএনপির রাজনীতিই হলো সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী রাজনীতি। লেডি লাদেন খালেদা জিয়ার নির্বাচন বানচালের জন্য গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় তাঁর কাজের বুয়া ছাড়া পাশে কেউ ছিল না। তিনি অভিযোগ করেন, ‘জাওয়াহিরি বিএনপি-জামায়াতের তত্ত্বাবধানে দেশে তিনবার এসেছিলেন। জাওয়াহিরি খালেদা জিয়াকে আশ্বস্ত করেছেন, আমরা আছি।’ মতিয়া চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় লেডি লাদেন খালেদা জিয়া খান সেনাদের আপ্যায়নে ছিলেন। আর তাঁর ছেলে জুনিয়র লাদেন ব্যাটম্যানদের কোলে বড় হয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এই বক্তব্য কার, আল কায়েদার নাকি বাংলাদেশের কারও সম্পৃক্ততা আছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। জাওয়াহিরির বক্তব্য বাংলায় কে খসড়া করে দিয়েছে, তা বের করতে হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘পাকিস্তানের সংসদে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আমাদের সংসদে সর্বসম্মত প্রস্তাব নিতে হবে। আল-কায়েদার বিরুদ্ধে প্রস্তাব নিয়ে এদের বুঝিয়ে দিতে হবে এটা পাকিস্তান বা আফগানিস্তান নয়। এটা বাংলাদেশ।’
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল বলেন, ‘ভদ্র মহিলা ১০ ট্রাক অস্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দুবাইতে তাঁর ছেলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।’ তরীকত ফেডারেশনের নবিজুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ‘জাওয়াহিরি চুপি চুপি তিনবার এদেশে এসে খালেদা জিয়ার সন্তান বা নিজামীর সঙ্গে দেখা করেছেন কি না, জাতি তা জানতে চায়।’