ba_243743873_43912_44082
যুগান্তরের বিরুদ্ধে ১১শ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা

মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার বিরুদ্ধে ১১’শ কোটি টাকার মানহানিজনিত ক্ষতিপূরণ মামলা করেছে বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইস্ট-ওয়েস্ট প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড ও এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আহমেদ আকবর সোবহান।

আজ সকালে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে তিনি মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার মালিক ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল, পত্রিকাটির প্রকাশক ও সম্পাদক সালমা ইসলাম, তাদের ছেলেশামীম ইসলাম এবং পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সাইফুল আলমসহ ৭জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভুইয়া বাদীর মামলাটি গ্রহণ করে বিবাদীদের প্রতি সমন জারি করেছেন। আগামী ৩১ মার্চ সমন সংক্রান্তপ্রতিবেদনের জন্যদিন ধার্য্য করা হয়েছে।

মামলায় বলা হয়, আসামিরা নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলের জন্য সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তাদর মালিকানাধীন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার মাধ্যমে কুৎসামূলক মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর রিপোর্ট প্রকাশ করে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে হয়রানি করে আসছে।

ইস্ট-ওয়েস্ট প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসাবে ১৯৮৭ সাল হতে বেসরকারি আবাসন খাতে সততা, আন্তরিকতা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে ব্যবসা করে গ্রাহকের আস্হা অর্জন করে। ইস্ট-ওয়েস্ট প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের প্রকল্পগুলো বসুন্ধরা হাউজিং হিসাবে সর্বাধিক পরিচিত।

এছাড়াও বসুন্ধরা গ্রুপ সততা ও নিষ্ঠার সাথে আবাসন, কাগজ, সিমেন্ট লৌহ, খাদ্য, প্রিন্টিং শিপিংসহ বিভিন্নখাতে অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। বসুন্ধরা গ্রুপের সাথে ৩০ হাজার শ্রমিক কর্মচারী ও প্রায় ২ লক্ষ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর আসামিদের মালিকানাধীন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘বসুন্ধরা হাতিয়ে নিয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি: মন্ত্রী, সচিবের বিরুদ্ধে তিন হাজার কোটি টাকার ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ: দ্রুত তদন্ত দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা-ড্যাপ উপ কমিটির সর্ববৃহৎ দূর্নীতি’ শিরোনামে একটি খবর ছাপা হয়।

মামলায় বাদি অভিযোগ করেন- বসুন্ধরা গ্রুপকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে যমুনা গ্রুপের মালিকানাধীন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় বসুন্ধরা গ্রুপ ও তার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইস্ট-ওয়েস্ট প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড -এর সুনাম নষ্ট ও ব্যবসায়িক ক্ষতি সাধনের জন্য একটি চরম মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানীকর এ প্রতিবেদন করে। এর ফলে বাদি প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক মানহানী হয়েছে।

দৈনিক যুগান্তর এ বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে শুধু বাদী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক ক্ষত করেনি বরং আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক পূর্ব মূহুর্তে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর অবৈধ স্বার্থ হাসিলের জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সরকারের মন্ত্রী, এমপি, সরকারী কর্মকর্তা, কর্মচারীকে জাতির নিকট হেয় প্রতিপন্ন করেছে।

মামলায় বলা হয়, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় উক্ত সংবাদ প্রকাশের পর ওইদিনই একটি প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়। কিন্তু তা যথাযথভাবে প্রকাশ না করে পরদিন ২৯ অক্টোবর একই বিষয় নিয়ে আরও একটি মনগড়া মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে।

মামলায় দৃঢ়ভাবে দাবি করা হয়, বাদী প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব বা সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে কোন প্রকার আইন সম্পর্ক ছিল না বর্তমানেও নাই। ২০১০ সালের ২২ জুন ড্যাপের গেজেট প্রকাশ হওয়ার বহু আগে থেকেই ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টিজ ডেভলপমেন্ট লিমিটেড বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর কাছ থেকে ক্রয়, বিনিময় ও পাওয়ার অব এটর্নিমূলে বেশ কিছু জমির মালিকানা অর্জন করে। বসুন্ধরা গ্রুপ কোন সরকারি সম্পত্তি বেআইনিভাবে দখল করেনি। কোন সরকারি জলাশয়, খাল বা নদীও ভরাট করেনি।

আসামিদের প্রকাশিত রিপোর্টটিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।