11841_f2
সুবীর ভৌমিকের নতুন তত্ত্ব —এবার গাড়িবোমা

ভারতীয় সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক সম্পর্কে প্রচলিত আছে অনেক কথাই। তার রহস্যময় যোগসূত্র, দক্ষিণ এশীয় রাজনীতি নিয়ে তার বিচার-বিশ্লেষণ জন্ম দেয় জল্পনা-কল্পনার। তবে সবই নাকি গুরুতর হিসাব-নিকাশের চাল। দেশে দেশে সম্পর্ক, পরিস্থিতি, মহল বিশেষের ‘আবহাওয়া’ যাচাই-বাছাই প্রভৃতি সূত্রে নানা তত্ত্ব গুরুত্ব পায় তার সংবাদ প্রতিবেদনে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের আগে তার এমনি এক তত্ত্ব ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছিল সকল মহলে। গতকাল হিন্দুস্থান টাইমসে লেখা ‘বাংলাদেশ ওয়ার ক্রাইমস অ্যান্ড দ্য পসিবিলিটি অব গ্লোবাল টেরর’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিকেও তার আরেক চাল বলে অভিহিত করেছে পর্যবেক্ষক মহল। ওই প্রতিবেদনের বিষয় সমপ্রতি প্রচারিত আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি’র কথিত অডিও বার্তা। বার্তাটিকে সত্য ধরে নিয়ে সুবীর ভৌমিক লিখেছেন, এতে বাংলাদেশের নেতিয়ে পড়া ইসলামপন্থি মৌলবাদীরা নৈতিক উদ্দীপনা পাবে। আল-জাওয়াহিরি’র বক্তব্যে জামায়াত ইসলামীর মতাদর্শকেই অনুসরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতের পুতুল মাত্র। তারা বাংলাদেশে ইসলামের নীতি-আদর্শ ধ্বংস করছে। এ সরকার শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার কট্টর বিরোধী।
সুবীর ভৌমিকের পর্যবেক্ষণে জোর দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের ওপর। তিনি লিখেছেন, আল-জাওয়াহিরি যে ধারায় আইনের প্রতিষ্ঠা চাইছেন তা বাংলাদেশের জনপ্রিয় পশ্চিমা ধাঁচের গণতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এতে পশ্চিমারা, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হতে পারে। কারণ রাজপথে জামায়াত-বিএনপি’র সহিংসতাকে ওই বার্তা আরও উস্কে দিতে পারে। পেট্রল বোমার পর দেখা দিতে পারে গাড়িবোমা। সে ক্ষেত্রে ইরাকের মতো পরিস্থিতি দেখা দিলে বৈশ্বিক সন্ত্রাস রক্তাক্ত করে তুলতে পারে বাংলাদেশকে। কারণ বাংলাদেশের ইসলামপন্থিরা জনপ্রিয় না হলেও দেশ ও সরকারের জন্য হয়ে উঠতে পারে গুরুতর হুমকি।
পর্যবেক্ষক মহলের মতে, সুবীর ভৌমিকের এই গাড়িবোমা তত্ত্ব এমন এক আবিষ্কার যার মাধ্যমে তিনি চান পশ্চিমাদের বিশেষ করে মার্কিনিদের মুখ ফেরাতে, বাংলাদেশের প্রতি ভারতের নীতিভঙ্গিতে পশ্চিমা মহলের সমর্থন আদায় করতে। উল্লেখ্য, মাস তিনেক আগে অন্য এক প্রতিবেদনে সুবীর ভৌমিক ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনাকে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন- যা নিয়ে কৌতুকের সৃষ্টি হয়েছিল।