imagesবগুড়ার সোনাতলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জোরপূর্বক কেন্দ্র দখল করে ভোট প্রদান, ব্যালট ছিনতাই, মারপিট ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে ভোট চলছে। ব্যালট ছিনতাই এর ছবি তুলতে গিয়ে সরকার দলীয় ক্যাডারদের রোষানলের শিকার হয়েছে দৈনিক ইনকিলাব বগুড়ার স্টাফ মাহফুজ মন্ডল, দৈনিক বর্তমান জেলা প্রতিনিধি আব্দুস ছাত্তার, সিনিয়র ফটো সাংবাদিক বজলুর রশিদ সুইট, জেড এ মিলন এবং স্থানীয় পত্রিকার বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। এসময় ব্যালট পেপার ছিনতাইকারী হলিদা বগা গ্রামের টুকু মিয়ার পুত্র রাশেদ মিয়া (৩২) ইনকিলাব এর রিপোর্টার মাহফুজ ম-লের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। আজ বুধবার দুপুর ১.০০টায় উপজেলার এনায়েত আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গেলে আইন শৃংখলাবাহিনীর সদস্য, প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ওই কেন্দ্রে কর্তব্যরত পুলিশের এএসআই আব্দুল মান্নান এর নিকট সহযোগিতা চাইলে তিনি বলেন, আমাদের নিরাপত্তাই এখানে নেই, আপনাদের কিভাবে নিরাপত্তা দেব। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে  জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০১৪ পর্যবেক্ষনের জন্য জেলা রির্টার্নিং অফিসার সাক্ষরিত সাংবাদিক পরিচয়পত্র নিয়ে আজ সোনাতলা উপজেলার চরপাড়া, বয়ড়া, দীঘলকান্দী, কানুপুর, এনায়েত আলী উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সরকার দলীয় ক্যাডাররা প্রিজাইডিং অফিসারদের নিকট থেকে জোরপূর্বক ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়াউল হক শ্যাম্পুর আনারাস মার্কায় ছিল মেরে ব্যালট বাক্সে ফেলছে। এসব কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা শত শত ভোটার অভিযোগ করেন তাদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি। এছাড়া ৪০টির অধিক ভোট কেন্দ্র থেকে ১৯ দলের প্রার্থী একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির এর টিউবয়েল মার্কার এজেন্টদের মারপিট করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে সরকার দলীয় লোকজন।  ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া চিত্র তুলতে গিয়ে শ্যাম্পুর কর্মীদের দ্বারা আক্রান্ত সাংবাদিকরা  সোনাতলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোবাইল কোর্টের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: শামসুজ্জোহা’র সাথে বেলা ১.১০ মিনিটে যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যাপারে নেয়া হবে বলে সাংবাদিকদের আশ্বস্থ করেন।