road-accident258
ইতালি যাওয়া হলো না লিজার, স্বামীও চলে গেলেন

ইতালি যাবেন প্রবাসী লিজা। মাইক্রোবাসে তাঁকে নিয়ে রওনা হলেন স্বামী শাহীন মিয়া। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত স্ত্রীকে এগিয়ে দেবেন। কিন্তু পথে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ তাঁদের সে আশা চিরতরে গুঁড়িয়ে দিল। তাঁদের সঙ্গে ঝরে গেল আরও দুটি প্রাণ।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শাহীন মিয়া (২৬) ও লিজা আক্তারের (২১) বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর এলাকার শম্ভুপুরে। নিহত অন্য দুজন হলেন ভৈরব বাজার এলাকার পিয়াস আহমেদ (২৫) ও ভৈরব বাজারের ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী মো. রায়হান মিয়া (২৪)। তাঁরা সবাই পরস্পরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভৈরব পৌর এলাকার শাহীন তাঁর ইতালিগামী স্ত্রী লিজাকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে দিতে দুই বন্ধু রায়হান ও পিয়াসকে সঙ্গে নিয়ে মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। তাঁদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি নারায়ণপুরের গকুলনগর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সিলেটগামী শ্যামলী পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মাইক্রোবাসে থাকা শাহীন, লিজা, রায়হান ও পিয়াস মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় মাইক্রোবাসের চালককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

খবর পেয়ে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হাসনাত।

বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম জানান, ময়নাতদন্ত না করার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের লোকজন লাশ নিয়ে গেছেন। ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে। বাসের চালক ও তাঁর সহকারী পলাতক।