180px-Dhaunilogo
ছাত্রীকে অধ্যাপকের লাথি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে গালিগালাজ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে অভিযুক্ত শিক্ষিকার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে তার শাস্তির দাবি করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে মনোবিজ্ঞান বিভাগের এ ঘটনা ঘটে।

দুপুরে কলাভবনের ৩০৩৪ নাম্বার রুমে অভিযুক্ত শিক্ষিকা অধ্যাপক আয়েষা মাহমুদাকে কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিভাগের অফিসসহকারীরা তালা খুলে দিলে তিনি কক্ষ ত্যাগ করেন।
এ নিয়ে ছাত্রী বিভাগের চেয়ারপারসন, প্রক্টর ও ভিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী মাস্টার্সের ছাত্রী রুকসানা পারভীন বলেন, “গত মঙ্গলবার আমি আমার তত্ত্বাধায়ক জামিউন নাহার ম্যাডামের কক্ষে যাই। এরকিছুক্ষণ পর আয়েষা ম্যাডাম কক্ষে ঢোকে। আমি উঠে ম্যাডামকে যাওয়ার রাস্তা করে দেই। কিছুক্ষণ পর ম্যাডাম আমার কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় আমার পায়ে লাথি মারেন ও ‘রক্ষিতা’ গালি দিয়ে বের হয়ে যান।”

তিনি আরো উল্লেখ করেন এর আগেও আয়েষা ম্যাডাম আমাকে অশালীন মন্তব্য করেছেন। তাই অধ্যাপক আয়েষা ম্যাডামের শাস্তি দাবি করছি।

ওই ছাত্রীর তত্ত্বাবধায়ক ও বিভাগের প্রভাষক জামিউন নাহার   দৈনিক বার্তাকে বলেন, “ওই দিন রুকসানা আমার কক্ষে প্রজেক্টের বিষয়ে কথা বলতে এসেছিল। আয়েষা ম্যাডাম কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় ‘রক্ষিতা’ শব্দটি শুনতে পাই। পরে ম্যাডাম চলে যাওয়ার পর ওই শিক্ষার্থী তাকে লাথি মারার চিহ্ন দেখতে পাই। তবে আমার সামনে অ্যাসাইনমেন্টের স্তুপ থাকায় ম্যাডাম লাথি মেরেছেন কিনা সেটি সরাসরি দেখতে পাইনি।”

বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা মো. সোহেল রানা  দৈনিক বার্তাকে বলেন, “বিভাগের এক ছাত্রী আয়েষা ম্যাডামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বিভাগের চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”

তিনি আরো বলেন, “ম্যাডাম অধ্যাপক হওয়ার পর কক্ষে একা বসতে যাচ্ছেন। আমি বিভাগের চেয়ারপারসনকে এ বিষয়টি বলেছি। জানি না এ কারণেই ঘটেছে কিনা তা বলতে পারছি না।”

বিভাগের চেয়ারম্যান পারভীন হকে  দৈনিক বার্তাকে বলেন, “আয়েষা মাহমুদার বিরুদ্ধে এক ছাত্রী গালিগালাজ ও অশ্লালীন ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের বিরুদ্ধে একাডেমিক অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।”