image_54283.tibbat hallজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখলে থাকা তিব্বত হলসহ আরও ১০টি হল উদ্ধারের দাবিতে হল আন্দোলনের সপ্তম দিনে উপাচার্যের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে আন্দোলনকারীরা। আগামী রবিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন তিব্বত হল উদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। পরে সকাল ১১টার দিকে উপাচার্যের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে তারা। অবরোধের কারণে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপাচার্য ভবনে কেউ ঢুকতে ও বের হতে পারেননি। এতে প্রশাসনিক ভবনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আটকা পড়েন। পরে দুপুর ১টায় দিকে উপাচার্য ভবনের সামনে সমাবেশ করে তারা। সমাবেশে আগামী রবিবার সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের দখলে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিব্বত হল উদ্ধারের ঘোষণা দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলেও আবাসনের কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি হল বেদখলে রয়েছে। এর মধ্যে সাংসদ হাজী সেলিমের দখলে রয়েছে তিব্বত নামের একটি হলও। হাজী সেলিম শনিবারের মধ্যে স্বেচ্ছায় হলের দখল না ছাড়লে আগামী রবিবার তিব্বত হলের জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ হাজার শিক্ষার্থীরা দখল করবে বলে ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ থেকে বেদখলে থাকা বাকি হলগুলোও উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে তারা ঘোষণা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “হাজী সেলিমের দখলে থাকা তিব্বত হলটি আগামী রবিবার উদ্ধার করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলে আমরা মনে করি। প্রশাসন সহযোগিতা না করলে তাদের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চলবে।
এ প্রসঙ্গে প্রক্টর অশোক কুমার সাহা বলেন, “শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক। তাই তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলোতে প্রয়োজনে প্রশাসনিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।