bnp-logo
লড়াইয়ে বিএনপি এগিয়ে

চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম দফার ভোটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। গতকাল বুধবার ৯৭টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। রাত দুইটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৯১টি উপজেলার বেসরকারীভাবে ঘোষিত ফলাফল পাওয়া গেছে। তাতে ৪০টি উপজেলায়ই বিএনপির প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। আর, আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন ৩১টিতে।
এ ছাড়া ১১টিতে জামায়াত, তিনটিতে বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী, একটিতে জাতীয় পার্টি, দুটিতে নির্দলীয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি উপজেলায় জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও দুটিতে ইউপিডিএফ-এর প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
কোথায় কারা বিজয়ী: পঞ্চগড় সদরে আওয়ামী লীগের আনোয়ার সাদাত, বোদায় জামায়াতের শফিউল্লাহ, আটোয়ারীতে বিএনপির আব্দুর রহমান ও দেবীগঞ্জে আওয়ামী লীগের হাসানাত জামান চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
দিনাজপুরের কাহারোলে বিএনপির মামুনুর রশীদ চৌধুরী ও খানসামায় বিএনপির শহীদুজ্জামান শাহ, নীলফামারীর জলঢাকায় জামায়াতের সৈয়দ আলী, ডিমলায় আওয়ামী লীগের তবিবুল ইসলাম ও সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগের জাওয়াদুল ইসলাম, রংপুরের তারাগঞ্জে নির্দলীয় প্রার্থী আনিসুর রহমান ও মিঠাপুকুরে জামায়াতের গোলাম রব্বানী, কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির হায়দার আলী, গাইবান্ধার সাঘাটায় জাতীয় পার্টির গোলাম শহীদ ও গোবিন্দগঞ্জে বিএনপির ফারুক কবির আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় জামায়াতের আব্দুল গনি, ধুনটে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী তৌহিদুল আলম, শেরপুরে জামায়াতের দবিবুর রহমান, নন্দীগ্রামে জামায়াতের নুরুল ইসলাম মণ্ডল, সোনাতলায় বিএনপির এ কে এম আহসানুল তৈয়ব ও সারিয়াকান্দিতে বিএনপির মাসুদুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে আওয়ামী লীগের আব্দুল কাদের, নওগাঁর রানীনগরে বিএনপির আবু ফারুক ও মহাদেবপুরে বিএনপির আবদুস সাত্তার, রাজশাহীর মোহনপুরে বিএনপির আব্দুস সামাদ, নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির আবুল কালাম আজাদ, সিরাজগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগের রিয়াজউদ্দিন, রায়গঞ্জে বিএনপির আয়নুল হক, কাজীপুরে আওয়ামী লীগের মোজাম্মেল হক, পাবনার সাঁথিয়ায় জামায়াতের মোখলেসুর রহমান, সুজানগরে আওয়ামী লীগের আবুল কাশেম ও আটঘরিয়ায় জামায়াতের জহুরুল ইসলাম নির্বাচিত হন।
মেহেরপুর সদরে বিএনপির মারুফ আহমেদ, কুষ্টিয়া সদরে বিএনপির জাকির হোসেন ও ভেড়ামাড়ায় বিএনপির তৌহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহ সদরে বিএনপির আব্দুল আলীম, কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী, কোটচাঁদপুরে জামায়াতের তাজুল ইসলাম ও শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের মোশাররফ হোসেন শিকদার, যশোরের অভয়নগরে বিএনপির নুরুল হক মোল্লা, মাগুরার সদরে বিএনপির নাজিমুদ্দিন আহমেদ, শ্রীপুরে বিএনপির বদরুল আলম, নড়াইলের কালিয়ায় আওয়ামী লীগের খান শামীমুর রহমান, খুলনার কয়রায় জামায়াতের তমিজ উদ্দিন ও দিঘলিয়ায় আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম ও সাতক্ষীরার আশাশুনিতে আওয়ামী লীগের এ বি এম মোস্তাকিম নির্বাচিত হন।
ভোলার লালমোহনে আওয়ামী লীগের গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, বরিশালের গৌরনদীতে আওয়ামী লীগের শাহ আলম, বাকেরগঞ্জে আওয়ামী লীগের শামসুল আলম, জামালপুর সদরে বিএনপির আমজাদ হোসেন ও সরিষাবাড়িতে বিএনপির ফরিদ-উল-কবির তালুকদার, নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বিএনপির দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া ও দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগের এমদাদুল হক খান, কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আওয়ামী লীগের কারার সাইফুল ইসলাম, বাজিতপুরে আওয়ামী লীগের ছরওয়ার আলম, করিমগঞ্জে বিএনপির সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জের শিবালয়ে বিএনপির আলী আকবর, দৌলতপুরে বিএনপির তোজামেঞ্চল হক, সিংগাইরে বিএনপির আবিদুর রহমান খান, সাটুরিয়ায় বিএনপির বশির উদ্দিন বিজয়ী হন।
ঢাকার দোহারে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী কামরুল হুদা ও নবাবগঞ্জে বিএনপির খন্দকার আবু আশফাক, গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বিএনপির খন্দকার আজিজুর রহমান, নরসিংদীর পলাশে আওয়ামী লীগের সৈয়দ জাবেদ হোসেন ও বেলাবোতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আহসান হাবীব, রাজবাড়ী সদরে বিএনপির এম এ খালেক, বালিয়াকান্দিতে আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ ও পাংশায় আওয়ামী লীগের ফরিদ হাসান নির্বাচিত হন।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে নির্দলীয় প্রার্থী জানে আলম, মাদারীপুরের কালকিনিতে আওয়ামী লীগের তৌফিকুজ্জামান, শরীয়তপুরের ভেদেরগঞ্জে বিএনপির আনোয়ার হোসেন, জাজিরায় আওয়ামী লীগের মোবারক আলী শিকদার, ডামুড্যায় আওয়ামী লীগের আলমগীর হোসেন ও গোসাইরহাটে আওয়ামী লীগের সৈয়দ নসির উদ্দিন নির্বাচিত হন।
সুনামগঞ্জের ছাতকে আওয়ামী লীগের ওলিউর রহমান, দক্ষিণ সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের আবুল কালাম ও দোয়ারাবাজারে আওয়ামী লীগের ইদ্রিস আলী, সিলেটের বিশ্বনাথে বিএনপির সোহেল আহমেদ চৌধুরী, জকিগঞ্জে বিএনপির ইকবাল আহমেদ, কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের আবদুল বাছির, গোলাপগঞ্জে জামায়াতের নজমুল ইসলাম, গোয়াইনঘাটে বিএনপির আব্দুল হাকিম ও জৈন্তাপুরে জামায়াতের জয়নাল আবেদিন, হবিগঞ্জের বাহুবলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আব্দুল হাই ও মাধবপুরে বিএনপি সমর্থিত এফ এম শাহজাহান ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আওয়ামী লীগের আ স ম কামরুল ইসলাম নির্বাচিত হন।
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিএনপির মাহবুবুল হক ও মিরেরসরাইয়ে বিএনপির নুরুল আমিন, খাগড়াছড়ি সদরে ইউপিডিএফের চঞ্চুমনি চাকমা, মাটিরাংগায় বিএনপির তাজুল ইসলাম, মহালছড়িতে জেএসএসের বিমল কান্তি চাকমা, পানছড়িতে ইউপিডিএফের সর্বোত্তম চাকমা, রামগড়ে বিএনপির শহিদুল ইসলাম ভুইয়া, মানিকছড়িতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ম্র্যাগ্য মারমা নির্বাচিত হন।