tiger
অবশেষে মারা গেল

সুন্দরবন থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া রয়েল বেঙ্গল টাইগারটি অবশেষে মারা গেল। গত বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে এটি মারা যায়। তবে এই মৃত্যুর খবরটি বন বিভাগের পক্ষ থেকে গোপন করা হয়।

সুন্দরবন থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি আহত অবস্থায় রয়েল বেঙ্গল টাইগারটিকে উদ্ধার করা হয়। পায়ে জখম থাকা অবস্থায় ৮ ফেব্রুয়ারি এটিকে গাজীপুর বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নিয়ে আসা হয়। ওই দিনই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি ও বন বিভাগের বন্যপ্রাণী চিকিত্সকদের একটি দল বাঘটির জখম হওয়া পায়ে অস্ত্রোপচার করে। অস্ত্রোপচারের পরের দিন বাঘটির জ্ঞান ফেরে।

জ্ঞান ফেরার পরই বাঘটি কামড়ে পায়ের অস্ত্রোপচারের স্থানটি ছিঁড়ে ফেলে। এতে এটি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের চিকিত্সকেরা আবার অস্ত্রোপচার করতে কয়েক দফা চেষ্টা করেন। কিন্তু বাঘটির হিংস্রতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাঘটি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। গত পরশু রাতে এটি মারা যায়।

বাঘটির মৃত্যুর খবর গোপন রাখার কারণ জানতে চাইলে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বনরক্ষক তপন কুমার দে দৈনিক বার্তাকে বলেন, ‘বাঘটি মারা যাওয়ার পর আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। এটি নিয়ে আর বাইরে আলোচনা হয়নি।’

ত্রুটিপূর্ণ চিকিত্সার কারণে বাঘটির মৃত্যু হয়েছে কি না—জানতে চাইলে তপন কুমার দে বলেন, ‘বন বিভাগের যে দুজন চিকিত্সক বাঘটির অস্ত্রোপচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁরা ভারতের দেরাদুন থেকে বন্যপ্রাণীর ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। অস্ত্রোপচারের সময় তাঁদের সহায়তা করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি বিভাগের বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকেরা। তবে রয়েল বেঙ্গল টাইগারদের অস্ত্রোপচার করার মতো বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক আমাদের দেশে নেই। বাঘটিকে বাঁচাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছি।’