01
পটুয়াখালীতে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের দ্বন্দ্ব, বসতবাড়ি ভাঙচুর

পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউট ও পটুয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের দ্বন্দ্বের জের ধরে শহরের সবুজবাগ এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলা চালিয়ে তিনটি ঘরে আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালালে একজন অগ্নিদগ্ধসহ তিনজন আহত হয়।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের মারধরের জন্য দোষীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে,  বসতবাড়িতে হামলার ঘটনায়ও এলাকাবাসী আলটিমেটাম দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সবুজবাগ ও কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‍্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরকারি কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সবুজবাগ এলাকার ৯ নম্বর লেনের তিনটি বসতবাড়িতে ডুকে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় তারা কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। আগুন নেভাতে গিয়ে মো. আলতাফ হোসেন অগ্নিদগ্ধ হন। এ ছাড়া আম্বিয়া বেগম ও আছমা আক্তার নামের দুই নারী আহত হন। এ ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আন্দোলনে নামা হবে বলে এলাকাবাসী জানায়।
পটুয়াখালী সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাসেল জানান, শুক্রবার সকালে পূর্ব বিরোধের জের ধরে পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের কয়েকজন ছাত্র সরকারি কলেজের ইসলামিক শিক্ষা বিভাগের রিজওয়ান, মিরাজ ও অর্থনীতি বিভাগের তারেককে ক্যাম্পাসে ঢুকে মারধর করে চলে যায়। এ ঘটনায় সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে। তবে বসতবাড়িতে হামলার বিষয়ে কোন কথা বলেননি ছাত্রলীগের ওই নেতা।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ওই সব বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা বসতবাড়িতে হামলা চালায়। সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।