02পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাভার উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। শুক্রবার সকালে সাবেক সাংসদ ও উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক ডাঃ দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিন বাবুর ব্যাংক কলোনীর বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।  সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সাংসদ ডাঃ দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিন বাবু লিখিত বক্তব্যে বলেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিলেও সাভারে পুলিশ প্রশাসন নির্বাচনকে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর পক্ষে প্রভাবিত করার কাজে মাঠে নেমে পড়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশি হয়রানির কিছু তথ্য প্রমাণও তুলে ধরেন তিনি। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে পুলিশি হয়রানি বন্ধে জেলা রিটার্নিং অফিসার শাহ আলমের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি বলেন, বিষটি জানিয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত আবেদনও করা হয়েছে।নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করার পর এ পর্যন্ত অনেক নেতা-কর্মীকে মিথ্যা পেন্ডিং মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। এছাড়াও জনসংযোগকালে আইনের দোহায় দিয়ে সাভার ও আশুলিয়া থানা পুলিশ বিএনপি প্রার্থীদের হয়রানী করছে। গ্রেফতার করতে প্রতি রাতেই নেতা-কর্মীদের বাসায় পুলিশ হানা দিচ্ছে ফলে নেতা-কর্মীরা বাসায় থাকতে পারছে না। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা।সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী কফিল উদ্দিন বলেন, সরকার পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে ব্যবহার করছে যা গণতন্ত্র ও সংবিধান পরিপন্থী। সংবাদ সম্মেলন থেকে অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যদের অবিলম্বে প্রত্যাহারেরও দাবী জানানো হয়।   তবে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল পুলিশের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এজাহার নামীয় এবং পরোয়ানা ভুক্ত আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। নিরীহ কাউকে গ্রেফতার কিংবা হয়রানী করা হচ্ছে না। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিতি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী দেওয়ান মঈনউদ্দিন বিপ্লব, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মিনি আক্তার উর্মি, সাভার পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব রেফাত উল্লাহসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।