যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের কোনো আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে নসিমন, করিমন, ইজিবাইক দেখতে চাই না। এসব গাড়ি যানজট এবং দুর্ঘটনার কারণ। যানজটের কারণে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। তবে আমরা চাই না, এসব গাড়ি চালকদের পেটে লাথি মারতে। এজন্য এসব গাড়িকে ফিডার রোডে চলতে হবে।
আজ শনিবার যশোর-খুলনা মহাসড়ক পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের কাছে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যশোর-খুলনা মহাসড়কের ৬৬ কিলোমিটারের মধ্যে মাত্র ৩ কিলোমিটার খারাপ অবস্থায় রয়েছে। গত আড়াই বছরে আমি দশবার এখানে এসেছি। কিন্তু তারপরও এই সড়কের কাজ শেষ হয়নি। এজন্য ঠিকাদারের গাফিলতি ও অবহেলাকে দায়ী করে তিনি বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনি লিংক ইন্টারন্যাশনালের কার্যাদেশ আজই (শনিবার) বাতিল করা হলো। আগামীকালই (রবিবার) ১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার নতুন টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ৭০ দিনের মধ্যে এই সড়কে কোনো গর্ত দেখতে চাই না। গোটা যশোর শহর ইজিবাইক দখল করে নিয়েছে। আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে কারা অবস্থান নিয়েছে আমি তাদের দেখতে চাই। তিনি যশোরের পুলিশ সুপারের সাথে মোবাইল ফোনে তাত্ক্ষণিকভাবে যশোর শহরসহ আঞ্চলিক ও মহাসড়ক থেকে নসিমন, করিমন ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন। তিনি এসপিকে বলেন, ‘জনগণ আমাকে বলছে পুলিশ এসব যানবাহনের কাছ থেকে চাঁদা নেয়। পুলিশের এই চাঁদা তোলা বন্ধ করতে হবে।’
সকালে মন্ত্রী হেলিকপ্টারে যশোরে পৌঁছে সরাসরি চলে যান শহরের বাবলতলা ব্রিজের নির্মাণকাজ দেখতে। এ সময় মন্ত্রী মহাসড়কে ইজিবাইক চলতে দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘প্লিজ স্টপ ইট’। এরপর তিনি মনিহার চত্বরে পৌঁছে ইজিবাইকের জটলা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘সমস্ত রাস্তাই কী ইজিবাইক দখল করে রাখবে?’
উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থীর বিজয় ও তাদের ভোটবৃদ্ধি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় নির্বাচন স্থানীয় ইস্যুতেই হয়। এখানে জাতীয় রাজনীতির কোনো প্রতিফলন ঘটে না। তবে উপজেলার সব নির্বাচন শেষ হবার পরে বিশ্লেষণ করে দেখা হবে। তিনি বলেন, প্রতিবার নির্বাচনের সময় ভোটগ্রহণের দিন বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিএনপি বারবার বলতে থাকে নির্বাচনে জালিয়াতি হচ্ছে, তামাশা হচ্ছে। কিন্তু এবারও নির্বাচনে বিএনপির বেশি প্রার্থী বিজয়ের মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে তাদের অভিযোগ অমূলক।
দলীয় প্রার্থীর পরাজয় প্রত্যাশিত হয়নি মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাংগঠনিক দুর্বলতা বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। এ সময় তার সাথে ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ আলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফকির আব্দুর রব, যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক প্রমুখ।
