images
বিশ্ব চায় বিএনপি জঙ্গিদের ত্যাগ করুক: তোফায়েল

বিশ্বের ১০টি সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর তালিকায় বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিএনপি জঙ্গিদের সঙ্গে জোট করেছে। আজকে যখন সারা বিশ্ব চায় বিএনপি জঙ্গিদের সঙ্গ ত্যাগ করুক, তখন বিএনপির নেতা খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা কাদের সঙ্গে জোট করব কি করব না, সেটা আমরাই সিদ্ধান্ত নেব।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জোহরা তাজউদ্দীনের স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী ফোরাম আয়োজিত স্মরণসভায় তোফায়েল আহমেদ  এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক তথ্য ও মতামত সরবরাহকারী সংস্থা হিসেবে পরিচিত আইএইচএসের ‘আইএইচএস জেনস ২০১৩ গ্লোবাল টেররিজম অ্যান্ড ইনসারজেন্সি অ্যাটাক ইনডেক্স’ এ তালিকায় বিশ্বের ১০টি সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর তালিকায় বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাম এসেছে। এ তালিকায় ১ নম্বরে আছে থাইল্যান্ডের বারিসান রেভুলুসি নাসিওনাল। দ্বিতীয় স্থানে আছে তালেবান। তালিকায় ৩ নম্বরে আছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন শিবিরের নাম। এ প্রসঙ্গে আজ তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপির নেতারা প্রতিদিনই জঙ্গিগোষ্ঠীর পক্ষে বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি সমালোচনা করে বলেন, ‘একটি দল, যে দলের কোনো নীতি নেই—এরা একটি নির্বাচনে অংশ নেয় অন্যটিতে অংশ নেয় না। জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রমাণ করেছে তারা বিগত নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ভুল করেছিল। তারা নাকে খত দিয়ে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।’

আওয়ামী লীগের নেতা তোফায়েল বলেন, ‘বিএনপির আমলে কোনো উপনির্বাচনে আমাদের জিততে দেয়নি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও তারা কারচুপি করেছিল। আমি অবাক হয়ে যাই, যখন দেখি একদিকে বিএনপি নেতারা প্রতিদিন বক্তব্য-বিবৃতি দেন নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না, অন্যদিকে তাঁরা নির্বাচনে জয়লাভ করছেন। একটি দলের নীতি থাকা উচিত। উপজেলায় সুষ্ঠু নির্বাচনই প্রমাণ করেছে শেখ হাসিনার অধীনেই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব।’

জোহরা তাজউদ্দীনের অবদান স্মরণ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, তিনি পঁচাত্তরের পর আওয়ামী লীগের হাল ধরে, সম্মেলন করে শেখ হাসিনার হাতে আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। তিনি অনেক পরিশ্রম করেছেন সংগঠনের জন্য। তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব তিনি যথাযথভাবে পালন করেছিলেন।

কামাল হোসেনের সমালোচনায় মুজিবুল হক

স্মরণসভায় গণফোরামের সভাপতি কামাল হোসেনের উদ্দেশে রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ‘বহু নেতা আওয়ামী লীগের সঙ্গে বেঈমানি করেছিলেন। যেমন একজনের কথা বলতে পারি তিনি হলেন কামাল হোসেন। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ও মাঝে মাঝে তিনি জাতিকে জ্ঞান দেন। তিনি কখনো নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি। জামানত বাতিল হয়। তিনি আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিলেন। তিনি মাইনাস হননি বাংলাদেশের মানুষের হূদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। রেলপথমন্ত্রী কামাল হোসেনকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আর কামাল হোসেন আপনি নিজেই রাজনীতি থেকে মাইনাস হয়ে গেছেন।’

খালেদা জিয়ার সমালোচনা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, খালেদা জিয়া সংসদে আসেননি বলে অনেকেই মায়াকান্না করেছেন। তিনি গণতান্ত্রিক বিরোধী দলের কোনো দায়িত্ব পালন করেননি। পাঁচ বছরে মাত্র ১০ দিন সংসদে গিয়েছিলেন। মন্ত্রী প্রশ্ন তুলে বলেন, তিনি গেলেও কী, না গেলেও কী? শেখ হাসিনা শুধু বঙ্গবন্ধুর রক্তের নয় আদর্শেরও উত্তরাধিকারী। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে তিনিই যোগ্য।

সংগঠনের সভাপতি মো. এমরান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, কায়সার-ই-আলম প্রধান প্রমুখ।