image_70208_0_45631
ইউক্রেন পুলিশের হাঁটু গেড়ে ক্ষমা প্রার্থনা

ইউক্রেনে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে সহকর্মীদের হাতে হতাহতের ঘটণায় হাটু গেড়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে পুলিশ। পশ্চিম ইউক্রেনের এলভিভ শহরে দেখা যায় সেই বিরল দৃশ্য। গত কয়েকদিনে ইউক্রেনে সরকার বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের হাতে প্রাণ হারান অনেকে।

ক্ষমা চাইতে আসা এক অফিসার বলেন, “আমাদের ক্ষমা করে দিন। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের স্মৃতিতে হাঁটু গেড়ে বসছি।”

রাজধানী থেকে দায়িত্ব সেরে ফেরার পরে বারকুট পুলিশ (ইউক্রেনের বিশেষ পুলিশবাহিনী) ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থকদের মুখোমুখি হন। তাদের দেখেই প্রতিবাদীরা ‘শেম’ ‘শেম’ বলে চেঁচিয়ে ওঠেন। অফিসাররা তাদের শান্ত করেন। বলেন, তারা সরাসরি হত্যা করেননি। তবু এসেছেন ক্ষমা চাইতে।

এদিকে তারা সহকর্মীদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইলেও জানা গেছে বারকুট বাহিনীর বেশ কিছু উচ্চপদস্থ অফিসার অস্ত্রসহ নিখোঁজ।

অন্তর্বর্তী অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আরসেন আভাকভ বলেছেন, কিয়েভের ইনডিপেন্ডেন্স স্কোয়ারে নিরপরাধ মানুষদের হত্যা নিয়ে তদন্তের সূত্রে ওই অফিসারদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। তার পর থেকেই বারকুট বাহিনীর নেতৃত্বস্থানীয় অফিসাররা নিখোঁজ।

অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ওলেকসান্দার তুর্চিনভ জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন পিছিয়ে গেছে। মঙ্গলবার সরকার গঠনের কথা ছিল। কিন্তু তুর্চিনভ  বলেন, বৃহস্পতিবারের আগে সরকার গঠন সম্ভব নয়। ২৫ মে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে সেখানে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া টাইমোশেঙ্কো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করায় রাশিয়া মোটেই খুশি নয় ইউক্রেনের ওপর। তারা যে এখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে না সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে পুতিন সরকার। দেশের আর্থিক দুরাবস্থা সেক্ষেত্রে কী ভাবে মেটানো হবে, ইউক্রেনের নেতাদের মাথায় এখন সেই চিন্তা। ক্রমশ দেউলিয়া হওয়ার পথে হাঁটছে ইউক্রেন। ভরসার কথা একটাই, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এবং আমেরিকা তাদের আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। -সংবাদ সংস্থা।