upozilla_72634
কাল ভোট

চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ৫২ জেলার ১১৬টি উপজেলায় এক হাজার ৩৫২ জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে নামবেন। দেশের ৫২ জেলায় ১১৬ উপজেলায় এদিন সকাল ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। এদিন নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।ভোট হওয়া উপজেলাগুলোতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচারনা বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
দ্বিতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ হাজার ৩৭৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলের সমর্থিত প্রার্থী। এর বাইরেও রয়েছে দুই দলের অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। প্রায় ২ কোটি ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও উপজেলা নির্বাচন মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মর্যাদার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রথম দফা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ এ নির্বাচনে প্রার্থীদের জয়ী করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন ঘিরে তৃণমূল পর্যায়ে চলছে টানটান উত্তেজনা। পাশাপাশি ভোটারদের মধ্যে রয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা।
চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের পাঁচ ধাপের এবারই সবচেয়ে বেশি উপজেলা নিয়ে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এ ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ৫০৫ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫১১ জন ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ৩৩৬ জন প্রার্থী। এসব এলাকায় ভোটকেন্দ্র থাকছে আট হাজার ৬৩টি। ভোটকক্ষ ৫১ হাজার ৩১৫টি। মোট এক কোটি ৯৬ লাখ ৬২ হাজার ৬৪৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৮ লাখ ৪০ হাজার ৮৬৮ জন আর নারী ভোটার ৯৮ লাখ ২১ হাজার ৭৮০ জন।
নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) মোট আট হাজার ৬৩ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে। সহকারি প্রিজাইডিং আফিসার প্রায় ৫১ হাজার। পোলিং অফিসার এক লাখের বেশি। এছাড়া ভোটগ্রহণের জন্য নির্বাচনকেন্দ্রিক অপরাধরোধ ও শাস্তি দেয়ার জন্য মাঠে নেমেছে ৪৬৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১১৬ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনের পর দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে সর্বত্র সতর্ক অবস্থানে রয়েছে কমিশন। নির্বাচনের নিয়ম ভঙ্গকারীকে তাৎক্ষণিক শাস্তি দিতে রিটানিং কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীর প্রতি স্ট্রাইকিং ফোর্সের একজন কমান্ডিং অফিসার ও একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। প্রতি কেন্দ্রে একজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার ১০ জন (নারী-৪, পুরুষ-৬ জন) এবং আনসার একজন (লাঠিসহ) ও গ্রাম পুলিশ একজন করে মোট ১৪ জন সদস্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ, পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও হাওর এলাকায় কেন্দ্রপ্রতি ১৫ জন ফোর্স মোতয়েন করা হবে। এতে পুলিশের সংখ্যা বেড়ে দুই জন হবে।