image_56661.goyeshor roy (1)আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনে কেরানীগঞ্জের ঢাকা-৩ আসনে ভোট ডাকাতির মহোৎসব চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র। সকাল থেকে উপজেলার ভোটচলাকালীন চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, সকাল ৮টা থেকে দুটি বাদে সব কেন্দ্র উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন, তার ভাই ফারুক ও  শিপলুর নেতৃত্বে দখল করা হয়েছে। পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি, মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। নারীদেরও মারধর করা হয়েছে। সামনে ভোট দিতে অস্বীকার করলে মারধর করা হয়েছে। সকল কেন্দ্র দখল করে ভোট লুটপাটের মহোৎসব চলছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। দেশব্যাপী সকাল থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনের সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ঢাকা-৩ আসনের পাঁচটি ইউনিয়নের সবকটি কেন্দ্র দখল করা হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি ১০ ভাগও নেই। ইতিমধ্যে কদমতলি ও আগানগরের ভোট শেষ হয়ে গেছে। কেরানীগঞ্জের ইতিহাসে এমন নির্বাচন কখনো হয়নি। এটা মাইলফলক হয়ে থাকবে। যারা নির্বাচনের দায়িত্বে আছেন তারা গৃহপালিত উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, তারা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে একাত্ম হয়ে এসব অপকর্ম করছে। পুলিশকে বাংলাদেশ আওয়ামী পুলিশ লীগ বলেও অভিহিত করে।
ভোট বর্জন করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের প্রার্থীর সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেবো। তবে যেহেতু জনগণ এ নির্বাচন বর্জন করেছে তাই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। কিছুক্ষণের মধ্যে জানানো হবে। কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনের অনিময় নিয়ে তুলে ধরা তার বক্তব্য ভুল প্রমাণ করতে পারলে প্রয়োজনে রাজনীতি থেকে ইস্তফা দেবেন বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
গয়েশ্বর আরো বলেন, সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের ভূমিকা এমন যে, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, করার কিছুই ছিলো না। কারণ সেনাবাহিনীর ম্যাজেস্ট্রেসি ক্ষমতা না থাকায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। এ ছাড়া ছয়জন ম্যাজিস্ট্রেটকে সকাল থেকে দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, তারা বুঝতে পারছে তাদের পায়ের তলায় মাটি নাই। আশরাফ-আমু-তোফায়েল-কামরুল সেনাবাহিনীকে প্রভাবিত করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সম্মেলনে দলের সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।