wqsnbppy_45834
হনুমানের পারলৌকিক কাজ, নিমন্ত্রিত ৩ হাজার!

হনুমানের শ্রাদ্ধ হবে। তাতে কি? আয়োজনের কমতি নেই বিন্দুমাত্র। মৃতের আত্মার শান্তি কামনায় সকাল থেকে শুরু হয়েছে নাম-সংকীর্তন। দুপুরে পংক্তিভোজন। নিমন্ত্রণ খেলেন ৩ হাজারেরও বেশি গ্রামবাসী। ভাত-ছোলার ডাল, শুক্ত, দু’রকমের তরকারি, পায়েস।

না-মানুষের শ্রা‌দ্ধে মানুষের এই এলাহী আয়োজন রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো।

গত বৃহস্পতিবার স্বরূপনগরের চারঘাট এলাকায় গার্লস স্কুলের পাশে হাই-টেনশন তারে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় হনুমানটির। শোকে ডুবে যায় গোটা গ্রাম। গ্রামবাসীরাই হনুমানকে নিয়ম মেনে কবরস্থ করে। সবাই মিলে ঠিক করে, মৃত হনুমানের স্মৃতিতে কবরের উপর একটি সমাধি মন্দির গড়া হবে। তারপরই চাঁদা তোলা শুরু হয়। ইতিমধ্যেই সমাধি মন্দিরের জন্য ৫০ হাজার টাকার বেশি চাঁদা উঠেছে।

এদিন ছিল হনুমানের পারলৌকিক ক্রিয়া। সকাল থেকেই ব্যস্ততা। হনুমানের ছবিতে মালা পরিয়ে ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে সমাধি মন্দিরের পাশেই শুরু হয়েছে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। পুরুত এসে নিয়ম-কাজ করেছেন। শুধু চারঘাটের মানুষই নয়, হনুমানের শ্রা‌দ্ধে জড়ো হয়েছেন আশপাশের গ্রামের মানুষও। লবণগোলা, মোল্লাডাঙা, টিপি, ঘোলা, শ্রীরামপুর। প্রায় চৌদ্দ-পনেরোটি গ্রাম একাকার হয়ে গেছে রামভক্তের বিদেহী আত্মার শান্তিকামনায়।

গ্রামবাসীরা জানালেন, সবাই যে চাঁদা দিচ্ছেন তা নয়, অনেকেই পারলৌকিক ক্রিয়ার জন্য চাল, ডাল, সবজি দিয়েছেন। ওই দানের সামগ্রী দিয়েই চলছে রান্না, পংক্তিভোজ।

জানা গেছে, শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের পরই শুরু হবে সমাধি-মন্দির নির্মাণের কাজ। না-মানুষের মৃত্যুতে মানুষের এমন উন্মাদনা, ভালোবাসা সত্যিই নজিরবিহীন।