1
মাটিরাঙ্গায় গুচ্ছ গ্রামের ২৭ লাখ টাকার খয়রাতি রেশন বিক্রি করে আওয়ামীলীগ নেতা উধাও

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বড়নাল পুরাণ বাজার গুচ্ছ গ্রামের ২ মাসের খয়রাতি রেশন বিক্রি করে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা বশীর আহাম্মদ ২৭ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। জানা গেছে, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ: বশীর আহাম্মদ বিগত ২০১২ সালে বড়নাল পুরাণ বাজার গুচ্ছ গ্রামের প্রকল্প চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়ে সেখানে ৫২৩জন কার্ডধারীর মধ্যে সরকার প্রদত্ত রেশন বিতরণ করে আসছেন। গত ১৬/০৩/২০১৪ইং তারিখে ৪০১নম্বর স্মারকমুলে গুচ্ছ গ্রামের ৫২৩জন কার্ডধারীর অনুকূলে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের রেশনের বরাদ্দপত্র ছাড় করা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে। রেশনের বরাদ্ধপত্র পাওয়ার পর গত ২৮ মার্চ তবলছড়ি খাদ্যগুদাম থেকে রেশন উত্তোলন করে বশীর আহাম্মদ। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে দুই মাসের ডিও-তে ৫১.৩৫৮ মে:টন চাউল ও ৩৭.৬১৪ মে:টন গম ইস্যু করা হয়। ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরের সরকারী দর অনুযায়ী আত্মসাৎকৃত রেশনের বর্তমান বাজারমূল্য ২৭ লক্ষাধিক টাকা।রেশন উত্তোলনের পর গত ৩১ মার্চের মধ্যে তা কার্ডধারীদের মধ্যে বিতরণের কথা থাকলেও চতুর প্রকল্প চেয়ারম্যান বশীর আহাম্মদ তা বিতরণ না করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। এবং রেশন বিক্রির ২৭ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেশন বিতরণ না হওয়ায় সম্পূর্ণ রেশন বিক্রি বশীর আহাম্মদ‘র পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি গত সোমবার রাতে জানাজানি হয়।  ঊড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ: আলী আকবর বলেন, ঘটনাটি জানার পরপরই আমি মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি। সাবেক খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ: রইস উদ্দিন ঘটনার  সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবী জানিয়ে বলেছেন, এ কাজে বশীর আহাম্মদ এর সাথে আর কারা কারা জড়িত রয়েছে তাদেরকেও খুঁজে বের করতে হবে।বিষয়টি সোমবার রাতে জানাজানি হলে বড়নাল এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তাকে আটকের নানামুখী চেষ্টা চলছে জানিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ড. মোহাম্মদ মাহে আলম ইনকিলাবকে বলেন, তাকে আটকের পর আত্মসাৎকৃত রেশন উদ্ধারসহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ: মাঈন উদ্দিন খান বলেন, আমি লোক মুখে ঘটনাটি জেনেছি। তবে এখনও  পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ না করায় আইনগতভাবে এগুনো যাচ্ছে না।