1
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসলে দুর্নীতি কমে যাবে

দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ ২০১৪ উপলক্ষে ‘রাজনৈতিক ঐক্য ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে প্রধান নিয়ামক’ শীর্ষক এক সেমিনারে দেশের বিশিষ্টজনেরা এ মন্তব্য করেন।
সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, বর্তমানে দুর্নীতি এমনভাবে ছড়িয়ে গেছে যে ‘সর্বাঙ্গে ব্যথা ওষুধ দেব কোথা’- এমন অবস্থা হয়েছে। আমাদের দেশের প্রধান দুই দলের মধ্যে আর কোনো ঐক্য না থাকলেও একটি বিষয়ে ঐক্য আছে। তাহলো লুটপাটের ঐক্য। এর কারণ হলো, তারা দুর্নীতিবাজদের কাছে জিম্মি।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে দলীয়করণ হয়ে গেছে। নিয়োগ-বদলি-পদোন্নতি-পদাবনতি-এসব প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিয়ম অনুসারে না হলে প্রশাসন কখনো দলীয়করণমুক্ত হবে না।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম বলেন, বর্তমান সমাজে ন্যায়বিচার বলে কিছু নেই। কমিশনের শক্তিও সীমিত হয়ে গেছে।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, সমাজে অনুসরণ করার মতো সৎ মানুষ কমে গেছে। দুর্নীতি প্রতিরোধে বর্তমান সরকারকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। দুদককে শক্তিশালী করতে পারলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে আসবে।
সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে হলফনামা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু এখন তা নাকি চরিত্রহনননামায় পরিণত হয়েছে।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, পত্রিকাতে ভুল সংবাদ ছাপা হলে অনেক সময় দেখা যায় সরকার তার প্রতিবাদ জানায়। তবে বাকি সত্য সংবাদগুলোর জন্য সরকার তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। যারা রাজনীতি করেন তারা না চাইলে কিছুই হবে না।