1রাশিয়ার সাথে সামরিক ও বেসামরিক সকল প্রকার সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বাতিল ঘোষণা করেছে নেটো।

ক্রাইমিয়া সংকটের জের ধরেই রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেটোর সদস্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

শুধু সম্পর্ক বাতিল করাই নয়, কৃষ্ণ সাগরে একটি যুদ্ধ জাহাজ পাঠাবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে অ্যামেরিকা।

ইউক্রেন সংকট শুরু হবার পর এই প্রথম ব্রাসেলসে বৈঠক করেছে নেটোর সদস্যরা।

ক্রাইমিয়াকে রাশিয়ার অধিগ্রহণ করার বিষয়টিকে সেই বৈঠকে ‘অবৈধ’ ও জবরদখলমূলক কাজ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়া আগ্রাসন চালিয়েছে দাবি করে নেটোর সেক্রেটারি জেনারেল এন্ডারস ফগ রাসমুসেন বলেছেন, রাশিয়ার এ আগ্রাসন হচ্ছে এই প্রজন্মে ইউরোপের নিরাপত্তার প্রতি মারনাঘাত সম এক হুমকি।
আর এই কাজের মধ্য দিয়ে রাশিয়া ন্যাটোর মূল নীতি,যার উপরে ন্যাটোর সহযোগিতা সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত,সেটিকে অবমাননা করেছে।

ফলে, রাশিয়ার সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক নয় বলেই তিনি উল্লেখ করেছেন।

পূর্বাঞ্চলের সীমান্তে নেটোর সামরিক উপস্থিতিও বাড়িয়েছে এবং পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় নজরদারি প্যাট্রোল বসিয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

মি. রাসমুসেন বলছেন, বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোতে প্রহরা মিশনের জন্য আমরা আগের চেয়ে দিগুণেরও বেশি যুদ্ধ বিমান নিয়োগ করেছি।

প্রয়োজনে আমাদেরকে আরো বিমান এবং রিফুয়েলিং ট্যাংকার দেবার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় অ্যামেরিকা এবং ইউরোপীয় মিত্রদের আমরা ধন্যবাদ জানাই।

ক্রাইমিয়া অঞ্চল নিয়ে পশ্চিমা শক্তিগুলোর সাথে রাশিয়ার যে সংকট চলছে সেটিই আরো ঘনীভূত হয়ে উঠলো ন্যাটোর এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে।

আর নেটোর এই ঘোষণার পাশাপাশি অ্যামেরিকা-ও কৃষ্ণ সাগরে একটি যুদ্ধ জাহাজ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, ইউক্রেন সংকটটা আসলে ন্যাটো জোটের জন্য একটা ‘ঘুম-ভাঙানিয়া’ ডাক হিসেবেই কাজ করেছে।

কিন্তু নেটো ও অ্যামেরিকার এই ঘোষণার পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনো কোনো জবাব আসে নি।

সূত্র: বিবিসি বাংলা