1৩ এপ্রিল: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। এবার সারা দেশে এইচএসসি, আলিম ও এইচএসসি ভোকেশনাল, ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ ও বিএম (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) এ সর্বমোট ১১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে নিয়মিত ৯ লাখ ১৬ হাজার ৫৬৮ জন। এছাড়া এক বিষয়ে ফেল করা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪২৯ জন, দু’বিষয়ে ফেল করা ৪১ হাজার ৭৮১ জন এবং সব বিষয়ে ফেল করা ৪০ হাজার ৫৪৭ জন আর প্রাইভেট পরীক্ষার্থী রয়েছে ৫ হাজার ৩২৭ জন ও মানউন্নয়ন পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৭২২ জন। ড্রপ-আউট করেছে ২ লাখ ৯ হাজার ৯১৩ জন।
পরীক্ষাকে সামনে বুধবার নিজ দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি জানান, নকলমুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০ লাখ ১২ হাজার ৫৮১ জন অংশ নিয়েছিল। সেই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ২৮ হাজার ৭৯৩ জন। এবার সারা দেশে দুই হাজার ৩৫২টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবে আট হাজার ১০৪টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। গতবছরের চেয়ে এবার ৩০১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৬৪টি পরীক্ষা কেন্দ্র বেড়েছে বলে জানান তিনি। এবার এইচএসসিতে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৯ লাখ ২৪ হাজার ১৭১ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ১ লাখ ৭ হাজার ৫৫৭ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে (বিএম, ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ ও ভোকেশনালে) ১ লাখ ৪ হাজার ৬৬৯ জন এবং ঢাকা বোর্ডের অধীনে ডিআইবিএসে ৪ হাজার ৯৭৭ জন পরীক্ষা দিচ্ছে। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬ লাখ ৬ হাজার ২৯৩ জন ছাত্র এবং ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮১ জন ছাত্রী।
সাধারণ শিক্ষার আটটি বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ৩ লাখ ৩৮ জন, রাজশাহীতে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৩৮ জন, কুমিল্লায় ১ লাখ ৪ হাজার ৪১৮ জন, যশোরে ১ লাখ ১৬ হাজার, ৭৫২ জন, চট্টগ্রামে ৭৭ হাজার ৭০৯ জন, বরিশালে ৫৫ হাজার ৭৪১ জন, সিলেটে ৫৭ হাজার ৮৮৮ জন, দিনাজপুরে ৯৮ হাজার ২৮৭ জন রয়েছে। ঢাকা বোর্ডের অধীন এবারও বিদেশে ৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেয়া হবে। কেন্দ গুলো রয়েছে দোহা, আবুধাবি, জেদ্দা, রিয়াদ এবং ত্রিপলিতে। এসব কেন্দে মোট ২০২ জন পরীক্ষা দেবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবারও পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।