1
সামনে পড়লে এভাবেই তেলে-বেগুনে জ্বলছে দু’পক্ষ

ক্রিমিয়া ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনায় আমেরিকা; বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি খেপেছেন রুশরা। তারা নানাভাবে তাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। কিন্তু যৌনতাও যে এর অংশ হতে পারে, তা বোধকরি কেউ ধারণাও করতে পারেননি। সেটাই করে দেখিয়েছেন এক রুশ নারী। ইউগিন তকচেভা নামে ২৮ বছরের এই নারী নিজের হাতে রুশ ভাষায় কিছু শব্দ ট্যাটু করিয়েছেন। সেই শব্দগুলোর ইংরেজি অর্থ হলো- ‘বারাক ওবামা ইজ ডিনাইড এক্সেস টু দ্য বডি’। যার বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায়, ‘বারাক ওবামার জন্য এই শরীর নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো’!
মজার ব্যাপার হলো, এখন এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছেন ইউক্রেনের মেয়েরাও। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বিক্ষোভ এবং পরবর্তী সময়ে ক্রিমিয়া হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কটা তীব্র সামপ্রদায়িক ও বিষাক্ত হয়ে গেছে গত দুই-তিন মাসে। তাই রুশ ও ইউক্রেনিয়ানরা পরস্পরকে দেখলেই বেজায় চটে যাচ্ছেন। প্রেম, বিয়ে তো দূরের কথা, বাণিজ্যিক বয়কটের ডাক দিয়েছে দুই পক্ষই। ফলে ক্রিমিয়ার রুশ অন্তর্ভুক্তি নিয়ে এখন চলছে স্নায়ুর লড়াই। তাই রুশদের বিরুদ্ধে এবার অভিনব প্রতিবাদ রাশিয়াবিরোধী ইউক্রেনিয়ান একটি মহিলাগোষ্ঠীর। রুশ পুরুষদের যৌন বয়কটের ডাক দিয়েছে তারা। ক্রিমিয়াকে গণভোটের মাধ্যমে নিজের ভূখ-ে জুড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। তাদের মন্তব্য, এতে রয়েছে গা-জোয়ারি ও কূটনৈতিক খেলা রয়েছে। তাই পাল্টা রুশ পুরুষদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে না জড়াতে ইউক্রেনিয়ান নারীদের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন ইরিনা রুবিশ নামে এক সুন্দরী যুবতী; যিনি ওই নারীগোষ্ঠীটির নেত্রী।
মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, রুবিশ ও তার বাহিনী এ আবেদন ছড়িয়ে দিচ্ছে এফএম রেডিও, টি-শার্টের মাধ্যমেও। টি-শার্টে একজোড়া হাত দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মেয়েদের যৌনাঙ্গের আকৃতি। সঙ্গে লেখা সস্নোগান, এটা রুশদের দিও না! এই টি-শার্ট ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্রিও হচ্ছে। দাম ইউক্রেনের মুদ্রায় ২৫০ হিরভনিয়া (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দুই হাজার টাকা)। টি-শার্ট বিক্রি তোলা অর্থ ইউক্রেনিয়ার সেনাবাহিনীকে ডোনেশন (অনুদান) হিসেবে দেয়া হবে বলে এনবিসি নিউজকে জানিয়েছেন ইকনমিকা কমিউনিকেশন হাব-এর সিইও রুবিশ।
তবে রুশ যুবকরা ইউক্রেনিয়ান যুবতীদের এই ‘জিহাদ’কে গুরুত্ব দিতে নারাজ। ক্রিমিয়ার যুবক-যুবতী; যারা অধিকাংশই রুশ, তারাও ফেসবুকে পাল্টা জনমত গড়েছেন। তাদের ব্যঙ্গ_ পশ্চিমা ঘেঁষা ইউক্রেনের মেয়েরা ছেলে না পেলে বরং ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে নিজেদের বয়ফ্রেন্ড ও বর জোগাড় করুক।
কিন্তু কেন রুশদের ক্রিমিয়া অন্তর্ভুক্তির জবাবে যৌনতাকে অস্ত্র করা হলো? রুবিশের ব্যাখ্যা, যৌনতা যে কোনো প্রচারে নজর কাড়তে দারুণ কাজে লাগে। তবে টি-শার্টের সস্নোগানে যৌনতার নাম-গন্ধ নেই বলে দাবি করে তার সাফাই, পুতিন ও রুশ সেনাদের মতো আগ্রাসনকারীর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করাই আমাদের উদ্দেশ্য! তথ্যসূত্র : এবিপি, এনবিসি নিউজ