1লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দ্বিতীয় স্ত্রীর হত্যার ঘাতক মোঃ মাসুদ (৩৫) এবার তালাকপ্রাপ্ত প্রথম স্ত্রীর বড়বোন সাজেদাকে (২৮) কে নিয়ে  উধাও হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বড়দেল গ্রামে।্ এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে সাজেদার পিতা  আব্দুল কাদের রায়পুর থানায় মাসুদকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
রায়পুরের বামনী ইউনিয়নের দিনমজুর আব্দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, প্রায় দেড় বছর আগে তার ছোট মেয়ে ফেরদৌসী আক্তারকে বিয়ে করেন ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসের হাট এলাকার মোহাম্মদ উল্যা দরবেশের ছেলে মোঃ মাসুদ। বিয়ের ৬মাস পরে নির্যাতনের কারণে মাসুদকে তালাক দেয়। এঘটনার দুইমাস পর মাসুদ চরআবাবিল ইউনিয়নের ব্রিক্স ফিল্ড এলাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন। যৌতুক না দেয়ায় মাসুদ দ্বিতীয় স্ত্রীকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ।
মাসুদদের বিরুদ্ধে রায়পুর থানায় মামলা হলে পালিয়ে আশ্রয় নেয় তার তালাকপ্রাপ্ত প্রথম স্ত্রীর বড়বোন সাজেদা বেগমের শ্বশুর বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বড়দেল গ্রামের বাড়িতে। সেখানে মাসুদ তার ভায়রা দিনমজুর আবুল বাসারের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে বসবাস করতে থাকেন। এক পর্যায়ে সুযোগ বুঝে মাসুদ ১ এপ্রিল রাতে তালাকপ্রাপ্ত প্রথম স্ত্রীর বড়বোন সাজেদাকেসহ নগদ টাকা ও স্বর্ণারংকার  নিয়ে রায়পুরে পালিয়ে এসে চরমোহনা ইউনিয়নের কোন এক গ্রামে বসবাস করছে বলে স্থানীয় কয়েকজন মাসুদকে দেখেছে বলে জানান।
এঘটনায় মেয়ে সাজেদা ও ঘাতক মোঃ মাসুদকে খুঁজে না পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় রায়পুর থানায় আব্দুল কাদের মামলা দায়ের করেন। এদিকে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে স্ত্রী সাজেদার খোঁজে দিশেহারা হয়ে পড়েছে স্বামী আবুল বাশারসহ স্বজনরা।
এ বিষয়ে রায়পুর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) নাসিরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রীর হত্যার ঘাতক মোঃ মাসুদকে আমরাও খুঁজে বেড়াচ্ছি। এদিকে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে পিতা আব্দুল কাদের থানায় মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং মেয়েটির খোজ পেতে সারাদেশে সংবাদ পাঠানো হয়েছে।