2রাজধানীর শাহবাগে একই সময়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এবং গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা সমাবেশ করতে চাওয়ায় কোনো সংগঠনকেই পুলিশ সমাবেশ করতে দেয়নি। পুলিশের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আজ শুক্রবার বিকেলে সমাবেশ করতে যাওয়ায় দুই সংগঠনের কর্মীদেরই লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে আটক করা হয়েছে সাতজনকে।

পুলিশের লাঠিপেটায় গণজাগরণ মঞ্চের আহত এক কর্মীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে গণজাগরণ মঞ্চ এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাঁরা একে অপরকে দোষারোপ করেন।

মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা হামলা করেছেন।

গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা। ছবিটি আজ রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে তোলা। ছবি: সাজিদ হোসেনগণজাগরণ মঞ্চের পাশে থাকা অন্যতম সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, ‘ছাত্রলীগ-যুবলীগ নয়, আমাদের ওপর ইমরান এইচ সরকারের ছেলেরা হামলা করেছে।’

হামলার ঘটনায় আজ শুক্রবার বিকেল চারটায় প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয় উভয় সংগঠন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ২০-২৫ জন সদস্য বেলা তিনটায় শাহবাগে জড়ো হন। সাড়ে তিনটার দিকে তাঁদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। চারটার দিকে তাঁরা প্রেস ব্রিফিং করার চেষ্টা করলে ধাওয়া দেয় পুলিশ। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, একই সময়ে দুই সংগঠন সমাবেশ ডাকায় কাউকে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মিছিল নিয়ে সমাবেশ করতে আসেন। কিন্তু পুলিশ ধাওয়া দিলে কর্মীরা আজিজ সুপার মার্কেটের দিকে যান। সেখান থেকে তাঁরা শাহবাগে ফেরার চেষ্টা করলে লাঠিপেটা করে পুলিশ। সেখান থেকে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী সোহাগ, ধীমান, টিটু, জয় ও ফরিদকে আটক করা হয়। এরপর জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান ও কর্মী ইমনকে আটক করে পুলিশ।