2
চলছে ওশান শিল্ডের তল্লাশি। ছবি: রয়টার্স।

নিখোঁজ বিমানের খোঁজে এ বার ‘ব্ল্যাক বক্স ডিটেক্টর’ নিয়ে সন্ধান শুরু করল অস্ট্রেলিয়া। গত সোমবার আমেরিকার এই বিশেষ যন্ত্র নিয়ে তল্লাশি এলাকার দিকে রওনা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া একটি বিশেষ জাহাজ ওশান শিল্ড। শুক্রবার থেকে ওই এলাকায় কাজ শুরু করল ওশান শিল্ডের।

প্রায় এক মাস নিখোঁজ মালয়েশিয়ার বিমান এমএইচ-৩৭০। কিছু দিন আগে মালয়েশিয়া সরকার বিমানটির ধ্বংসের কথা ঘোষণা করলেও এখনও পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায়নি কোনও ধ্বংসাবশেষের। বিভিন্ন দেশের উপগ্রহ ভারত মহাসাগরের বিভিন্ন প্রান্তে সন্দেহজনক বস্তুর সন্ধান দিলেও খোঁজ করে পাওয়া যায়নি কিছুই। নিখোঁজ হওয়ার পর প্রায় এক মাস কেটে যাওয়ায় ব্ল্যাক বক্সের ব্যাটারির আয়ুও প্রায় ফুরিয়ে আসছে। এই জন্যই বিমানটির ব্ল্যাক বক্স খুঁজে বের করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিভিন্ন দেশ। ওশান শিল্ডের খোঁজ শুরুর আগে কয়েক দিন ধরে ওই এলাকায় কাজ করছে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর বিশেষ জাহাজ এইচএমএস ইকো। শব্দ তরঙ্গের মাধ্যমে বিমানের ধ্বংসাবশেষ বা ব্ল্যাক বক্সের খোঁজ চালাচ্ছে জাহাজটি। কিন্তু ইকোর সেই চেষ্টাও এখনও সাফল্যের মুখ দেখেনি। ব্ল্যক বক্স খোঁজার আধুনিকতম সংস্করণ-সহ ওশান শিল্ডের দিকেই এখন তাকিয়ে সারা বিশ্ব। তবে গভীর সমুদ্রে ধ্বংসস্থলের সঠিক অবস্থান না জানলে ওশান শিল্ডের পক্ষেও ব্ল্যাক বক্স খোঁজা দুষ্কর হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই মুহূর্তে পারথ থেকে ১৭শ কিলোমিটার দুরে ভারত মহাসাগরের প্রায় ২.৫ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিমানটির খোঁজ করছে ১০টি সামরিক বিমান, চারটি অসামরিক বিমান এবং ন’টি জাহাজ।

সন্ধান কার্য আরও গতি আনতে বৃহস্পতিবারই অস্ট্রেলিয়া পৌঁছেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। তাঁর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টোনি অ্যাবট বলেছেন, ‘‘মানবজাতির ইতিহাসে এটি অন্যতম কঠিন সন্ধান অভিযান। তবে কোনও অবস্থাতেই হারানো বিমানের খোঁজ বন্ধ করা হবে না।’’ সন্ধান কার্যে সাহায্যের জন্য ফের এক বার অস্ট্রেলিয়া-সহ অন্য দেশগুলিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।