1ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন প্রাথমিক সরকারি তদন্তে দেখা গেছে ফেব্রুয়ারি মাসে কিয়েভে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সময় দেশটির বিশেষ পুলিশ বাহিনীর গুলিতেই বহু আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে ।

চিহ্নিত ১২জন পুলিশ সদস্যের মধ্যে ৩জনকে গ্রেপ্তারের কথাও তিনি জানিয়েছেন।

দেশটির অর্ন্তবর্তী প্রধানমন্ত্রী আর্সেনি ইয়াৎসেনিয়ুক বলেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ও তার মিত্ররাই যে এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী তা এখন স্পষ্ট এবং দেশটির সরকারি কৌঁসুলি মিঃ ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে।

মৃত্যুর ঘটনায় রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও করেছে দেশটির নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ।

গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যখন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ চলছিল, তখন সেই বিক্ষোভে গুলিতে নিহত হন ৭৬ জন।

এই বিক্ষোভের মুখেই ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের পতন ঘটে। সেই গুলি চালানোর ঘটনার তদন্ত শেষে এক সরকারী তদন্তে এখন এর জন্য সরাসরি দায়ী করা হচ্ছে ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ এবং তার দাঙ্গা পুলিশ বাহিনী বেরকুটকে।

ইউক্রেনের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আর্সেন আভাকভ জানিয়েছেন, দাঙ্গা পুলিশ বাহিনী বেরকুটের ১২ জন সদস্যকে চিহ্ণিত করা হয়েছে, গুপ্ত জায়গা থেকে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছিল।
2
এদের তিন জনকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, আটজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছিলেন একটি মেশিনগান থেকে ছোঁড়া গুলিতে।

ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান ভ্যালিন্টিন ন্যালিভাচেংকো বিক্ষোভকারীদের গুলি করে হত্যার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে সরাসরি দায়ী করেন।

ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান অভিযোগ করছেন, সেসময় যেভাবে পাইকারি হারে বিক্ষোভকারীদের হত্যা করা হয় তা ছিল এক সন্ত্রাস বিরোধী পরিকল্পনার অংশ ছিল, এবং এটি পরিচালিত হয় সরাসরি সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের আদেশে ও নেতৃত্বে।

ইতোমধ্যে ইউক্রেনের পুলিশ ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

বিক্ষোভের মুখে রাশিয়ায় পালিয়ে যাওয়া ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ এখনো সেদেশেই আছেন। তবে বিক্ষোভকারীদের গুলি করে হত্যার অভিযোগ তিনি বরাবরই অস্বীকার করেছেন।

মাত্র গতকালই এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি আবারও অভিযোগ করেন যে বিক্ষোভকারীদের দখলে থাকা ভবনগুলো থেকেই আসলে গুলি চালানো হয়েছিল।