প্রবল বৃষ্টিতে নদীর পাড় ভেঙে বন্যার কবলে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ। সরকারি সূত্রে খবর, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ছ’জনের, নিখোঁজ অন্তত ৩০ জন। বন্যার কবলে ঘর ছাড়া অন্তত ১০ হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মাতানিকাউ ও লুঙ্গা নদীতে আসা বানে নদীদু’টির পাড় ভেঙে এই বিপত্তি ঘটে। এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানী হোনিয়ারা। শহরের বেশির ভাগ অংশই জলে ভেসে গিয়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। ভেঙে পড়ছে অধিকাংশ সেতু। শহরের প্রধান নদী মাতানিকাউতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে।
সলোমনের এক সরকারি আধিকারিক রুদাবা খোন্দকের জানিয়েছেন, গৃহহীনদের আশ্রয় দিতে স্থানীয় স্কুলগুলিতে ১৬টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার এবং সেখানে ১০ হাজারের বেশি মানুষ ঘর ছাড়া। শহরের প্রায় এক তৃতীয়াংশ লোককে পুনর্বাসন দেওয়াটা কর্তৃপক্ষের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, শহরের পূর্ব দিকে যোগাযোগের মাধ্যমগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকারী দল পৌঁছতে পারেনি। তবে শহরের পশ্চিম দিকে উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সলোমনের বন্যা পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে এবং আগামী দিনে সাইক্লোন বা এই জাতীয় ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।