2
রধানমন্ত্রী

দৈনিক বার্তা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান বিশ্ব তথ্য প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে এগিয়ে যাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় স্কাউটদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। নিজেদের আধুনিক বিশ্বের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। শনিবার সকালে গাজীপুরের মৌচাকে বাংলাদেশ স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নবম বাংলাদেশ ও প্রথম সার্ক স্কাউট অর্গানাইজেশন (সানসো) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশু, কিশোর ও যুবকদের সৎ, চরিত্রবান, আত্মপ্রত্যয়ী ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে স্কাউট আন্দোলনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদশের স্কাউটস এক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকার জন্য দেশে এবং বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে।

স্কাউটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব তথ্য প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে এগিয়ে যাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তোমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। নিজেদের আধুনিক বিশ্বের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, “সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে তোমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। তাই শিক্ষা, মেধা, মনন ও সততার সংমিশ্রণে নিজেদের তৈরি করতে হবে।”

স্কাউট উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জেলা পর্যায়ে স্কাউট কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে।”

সব জেলায় স্কাউট ভবন নির্মাণ করে দক্ষ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, “উন্নত ও দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরিতে বাংলাদেশ স্কাউটস সব সময় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। তাই সরকার স্কাউটিংয়ের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরিতে সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।”

বাংলাদেশ স্কাউটের সংখ্যা এখন ১৩ লাখ, যা জনসংখ্যার তুলনায় বেশি নয় জানিয়ে স্কাউটসের গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য স্কাউট নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, “সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত দুটো করে স্কাউট দল খোলার পরামর্শ দিচ্ছি।”

বাংলাদেশ স্কাউটস গার্ল-ইন-স্কাউটিং কার্যক্রমের ২০ বছর পূর্তি ও স্কাউটিংয়ে মেয়েদের সংখ্যা ১ লাখ ৫২ হাজার ৬৬৭ জনে উন্নীত হওয়ায় স্কাউটসকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “স্কাউটিংয়ে মেয়েদের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে, এজন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা আমরা দেব।”

বাংলাদেশ স্কাউটস এর সভাপতি আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার মো. আবুল কালাম আজাদ, জাম্বুরির সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি মো. হেদায়েতুল্ল্যাহ আল মামুন এনডিসি প্রমুখ।

এর আগে সকাল ১০টায় গাজীপুরের মৌচাকে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। তিনি কেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাকে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী  আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার মো. আবুল কালাম আজাদ স্বাগত জানান।

পরে তাকে জাম্বুরি স্কার্ফ, ব্যাজ, স্যুভেনি ও ক্রেস্ট দেয়া হয়। সাড়ে ১০টার দিকে তিনি স্কাউটস সমাবেশ পরিদর্শন করেন।

সাতদিন ব্যাপী এই জাম্বুরি শেষ হবে ১১ এপ্রিল। এতে সার্কভুক্ত দেশ শ্রীলঙ্কা, ভূটান ও নেপালের ২৭ জন স্কাউট ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল কলেজের অন্তত  নয় হাজার স্কাউট ও কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন।

এখানে স্কাউটিং এর নানা বিষয়ের উপর অংশগ্রহণকারীদেরকে হাতে কলমে মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।