2দৈনিক বার্তা: সলোমন দ্বীপে ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু এবং প্রায় ১০ হাজার মানুষ গৃহহীন হওয়ার পর এখনো প্রায় ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এ বন্যার কারণে এখনো প্রায় ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। রাজধানী হনিয়ারা’র বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত থাকার কারণে হাজার হাজার দ্বীপবাসী জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা এবং খাদ্য ও খাওয়ার পানি বিতরণে সঙ্কট হওয়ার উদ্বেগে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সলোমন দ্বীপের রেড ক্রস মহাসচিব জোয়ান যোলেভেকে এ বন্যাকে ‘আমাদের কেউই এ ট্রাজেডিকে আসতে দেখিনি’ বলে বর্ণনা করেছেন। ঝড়ের কারণে প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে হনিয়ারার প্রধান নদী মাতানিকাউ কানায় কানায় ভরে দু কূল উপচে পড়ে সৃষ্টি হয় এ বন্যার- ভেসে যায় ঘরবাড়ি, সেতু, প্লাবিত হয় শহর। ‘নদীর দিকে লক্ষ্য রেখেছিলাম আমরা, কিন্তু কল্পনাও করিনি এতো দ্রুত এভাবে ফুলে-ফেঁপে উঠবে ওটা। আমাদের ভীষণ বিস্মিত করেছে ওটা। এজন্যই এসব মৃত্যু,’ বলেছেন যোলেভেকে।হনিয়ারা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরসহ বিদ্যালয়গুলোতে মোট এগারোটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে অভ্যন্তরীণ বিমান বন্দরের টর্মিনাল। পানি সরে যাওয়ার পর সেখান থেকে নানারকম রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দিয়েছে। গুয়াদালকানাল প্রদেশে অবস্থিত রাজধানীর এ চিত্রের বাইরে প্রদেশের অন্যান্য স্থানের চিত্রও একই রকম। ওসব অঞ্চলগুলোকেও দুর্যোগ কবলিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।‘খাওয়ার বা বিশুদ্ধ পানির সংযোগগুলো সংক্রমিত হয়ে পড়েছে, ধ্বংস হয়ে গেছে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা, অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসা দিতে ওষুধ সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে,’ জানিয়েছেন দ্বীপস্থ ওয়ার্ল্ড ভিশন এমার্জেন্সি রেসপন্স ম্যানেজার লরেন্স হিলারি।শনিবার পানি কমে যেতে শুরু করার পর দাতা সংস্থাগুলো এই মর্মে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে যে, সাগর পাড়ে এবং নদীর আবর্জনার স্তূপের মধ্যে আরো মৃতদেহ পাওয়ার মতো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে পুলিশ।শুক্রবার জানানো হয়েছিলো যে, বন্যায় নিহতের সংখ্যা ১৬। তবে শনিবার নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ১২ বলে জানানো হয়েছে।