দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ব্যর্থতার জন্য কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও অনুসন্ধানে স্বচ্ছতার অভাবকে দায়ি করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। রোববার দুদকের প্রধান কার্যলয়ে দুদক কর্মকর্তাদের আইনবিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দুদকের ব্যর্থতা আইনের জন্য নয়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও অনুসন্ধানে স্বচ্ছতার অভাবেই দুদক ব্যর্থ হচ্ছে।
আইন বিষয়ে ৫ দিনব্যাপী দুদকের এ কর্মশালায় পর্যায়ক্রমে ২৪০ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করছেন। যেখানে ৮ ভাগে ৩০ জনকে অনুসন্ধান ও তদন্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। হাইকোর্টের বিচারপতিরা এই প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
দুদক আইন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, এর আইন আদালতের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ হয়ে একটি আদর্শ আইনে পরিণত হয়েছে। যে কেউ আইনের মধ্যে থেকে অনুসন্ধান ও তদন্ত করলে কোনো ফাঁক-ফোকর থাকার কথা নয়। অনুসন্ধান ও তদন্তের মধ্যে যদি স্বচ্ছতা থাকে তাহলে আইনের মধ্যে থেকেই দুদকের জন্য প্রকৃত ঘটনা প্রমাণ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দুদক কর্মকর্তাদের আরো দক্ষ হওয়ার তাগিদ দিয়ে আনিসুল হক বলেন, দুদকের কর্মকর্তারা হচ্ছেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং-এর আসল লোক। আইনের মধ্যে থেকে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করলে ব্যর্থ হওয়ার কথা নয়। তাই দুদক কর্মকর্তাদের আরো দক্ষ করতেই এই কর্মশালার আয়োজন।
এদিকে কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সভাপতি দুদক চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বলেছেন, মামলা পরিচালনায় দুদক ব্যর্থ। এক্ষেত্রে তারা ৩০ ভাগও সফল হয়নি। অধিকাংশ মামলায় অপরাধীরা খালাস হয়ে যান। তাই কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতেই আইনবিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আইনজীবীরা সহযোগিতা করলে দুদক সফল হবে। আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে দুর্নীতিবাজরা বেব হতে পারবে না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হুদা বলেন, দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়। কিন্তু এমন পরিস্থিতি করা দরকার যাতে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। বার বার আইন পরিবর্তন করলে মানুষ বিভ্রান্ত হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে ১৫ হাজার আইন রয়েছে। এমন আইনও রয়েছে যা একটি অপরটির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই একটি আইনের কোনো অংশ সংশোধন করলে অন্তত ৫০ জায়গায় সংশোধন করতে হয়।