1দৈনিক বার্তা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশকে উন্নত করতে হলে, জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। সেজন্য, আমরা তাদের উন্নত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে চাই। আজ সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন করে তিনি এ কথা বলেন।

সকালে মন্ত্রিপরিষদের বিভাগ থেকে বান্দরবানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে ভিডিও কনফারেনে্সর মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উপস্থিত ছিলেন। এ বছরের স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মশা-মাছি দূরে রাখি : রোগ-বালাই মুক্ত থাকি’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও টিকাদান কার্যক্রমে বেশ সাফল্য অর্জন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ সালের আগে পার্বত্য অঞ্চলে ব্যাপক হানাহানি মারামারি ছিল । আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দ্যোগ নেয় এবং পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে। এর মধ্যে কিছু প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকি প্রচেষ্টাগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাহক-বাহিত রোগে ২০১০ সালে পৃথিবীতে অনেক মানুষ মারা যায়। এর মধ্যে বেশীর ভাগই হচ্ছে শিশু। বিশ্বব্যাপী ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার, যাতায়াত বৃদ্ধি, অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ন, কৃষি ব্যবস্থার পরিবর্তন, বনাঞ্চল ধ্বংস, পারিপার্শ্বিক পরিবেশের পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে বাহক-বাহিত রোগসমূহের ঝুঁকি ও বিস্তারের ঘটনা ঘটছে। উষ্ণমন্ডলীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশেও নানা ধরনের বাহক-বাহিত রোগ বিরাজ করছে।

তিনি বলেন, কখনো কখনো এই রোগসমূহ বিপুল সংখ্যক লোককে সংক্রমিত করে বা মৃত্যুঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে এই রোগগুলোর কোন কোনটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে অথবা নির্মূলের পর্যায়ে গিয়েছে। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে বাহক-বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাহক-বাহিত রোগসমূহ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলে সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করার ফলে বাংলাদেশ লক্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ এ কাজে আমাদের সহায়তা দিচ্ছে।

বর্তমানে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমে এসেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় রোগ সনাক্তকরণ ও চিকিত্সা প্রদান এবং কীটনাশকযুক্ত মশারি বিতরণ ও ব্যবহারের ফলে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিভিন্ন সংস্থার সাথে যৌথভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যক্রম পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং করছে। ফলে, ডেঙ্গুজ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা কমে এসেছে।

পার্বত্য জেলায় মশা-মাছির প্রকোপ বেশি হওয়ায় এবার ঐ এলাকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।