1দৈনিক বার্তা: খারকিভ, দোনেৎস্কসহ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি শহরে রুশপন্থী লোকজন সরকারি বহু ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর, কিয়েভের সরকার সেখানে নিরাপত্তা রক্ষী পাঠাচ্ছে।

শুধু সরকারি ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই তারা ক্ষান্ত হয়নি, দোনেৎস্কে দখলকারীরা রাশিয়ার সাথে যুক্ত হতে সেখানে ক্রাইমিয়ার মত গণভোটের দাবি জানিয়েছে, সার্বভৌমত্ব চেয়েছে।

খবর পাওয়া যাচ্ছে লুহান্স্ক নামে একটি শহরে বিক্ষোভকারীরা অস্ত্রাগার লুট করেছে।

ইউক্রেনের নতুন সরকার অভিযোগ করেছে রাশিয়া এসব অস্থিরতায় উস্কানি দিচ্ছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, রুশপন্থী বিক্ষোভকারীরা পূর্বাঞ্চলীয় দুটো শহরের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ভবন দখল করে নিয়েছে। শহরগুলো হচ্ছে, দোনেৎস্ক ও লুহান্স্ক।

পুলিশ বলছে যে, কোথাও কোথাও অস্ত্রশস্ত্রও লুট করা হয়েছে।”এর পেছনে উদ্দেশ্য হচ্ছে, ইউক্রেনে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সীমান্তের ওপার থেকে বিদেশি সৈন্য পাঠিয়ে দেশটির কিছু এলাকা দখল করে নেওয়া। ইউক্রেন এটা কখনোই হতে দেবে না”

আর্সেনেই ইয়েৎসিনিউক, অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী

এছাড়াও বিক্ষোভকারীরা খারকিভ শহরেও সরকারি কিছু ভবন দখল করে নিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মন্ত্রীসভার এক জরুরী বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী আর্সেনেই ইয়েৎসিনিউক এই অস্থিরতার জন্যে রাশিয়াকে দায়ী করেন।

তিনি বলেন, এর পেছনে উদ্দেশ্য বিদেশি সৈন্য পাঠিয়ে দেশটির কিছু এলাকা দখল করে নেওয়া।

“প্রত্যেকের কাছেই এটা অত্যন্ত পরিষ্কার যে ইউক্রেনবিরোধী, দোনেৎস্কবিরোধী, লুহান্স্কবিরোধী একটি পরিকল্পনার বাস্তবায়ন চলছে। এর পেছনে উদ্দেশ্য হচ্ছে, ইউক্রেনে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সীমান্তের ওপার থেকে বিদেশি সৈন্য পাঠিয়ে দেশটির কিছু এলাকা দখল করে নেওয়া। ইউক্রেন এটা কখনোই হতে দেবে না।” বলেন তিনি।

পূর্বাঞ্চলীয় এসব শহরে ইউক্রেন থেকে আলাদা হওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ তীব্র হওয়ার পর পুলিশ লুহান্স্ক শহরে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ

জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের লুহান্স্ক শহরে পাঠানো হয়েছে।

খারকিভ শহরে ইতোমধ্যেই গিয়ে পৌঁছেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর দোনেৎস্কের পথে রয়েছেন সরকারের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা।

রাশিয়া তার সীমান্তের কাছে ক্রাইমিয়ায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর পূর্বাঞ্চলীয় এসব শহরে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

আর গত সপ্তাহ থেকেই এই বিক্ষোভ জোরালো হচ্ছে।

এই পূর্ব ইউক্রেন ছিলো ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের রাজনৈতিক ঘাটি, যিনি তার সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনের মুখে রাশিয়াতে পালিয়ে গেছেন।

ইউক্রেনের নতুন নেতৃত্বকে রাশিয়া স্বীকৃতি দেয়নি, বরং উল্লেখ করেছে অবৈধ হিসেবে।