1দৈনিক বার্তা: বর্তমান সরকারকে ফ্যাসিস্ট উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র সফররত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, নিরপেক্ষ প্রশাসন বলতে বাংলাদেশে এখন আর কিছু নেই। দেশের মানুষের এখন আর প্রত্যাশার কোনো জায়গা নেই। সরকারের দুঃশাসনের হাত থেকে গণতন্ত্র এবং দেশকে রক্ষা করতে হলে কঠিন লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির পথ খোলা নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

স্থানীয় সময় রবিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের বোস্টনে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বিএনপির এই মুখপাত্র।

বোস্টনের থিংট্যাঙ্ক সোসাল জাস্টিস ওয়াচ গ্রুপ আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচন, ন্যায় বিচার ও বাংলাদেশে গণতন্ত্র শীর্ষক’ সেমিনারে রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটির প্রফেসর খন্দকার করিমের সভাপতিত্বে এবং হার্ভার্ড ইউনিভার্সির প্রফেসর ড. খারুয়ল ওয়ারার পরিচালনায় এই সেমিনারে অতিথি বক্তা ছিলেন প্রফেসর মোহাম্মদ এনায়েত উল্যাহ। প্রায় আড়াই ঘণ্টার এই সেমিনারে রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ তিন পর্বে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পর্কে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার প্রশাসনকে নিজের আঙিনার ফুলের বাগানের মত সাজিয়েছেন। যাতে করে নির্বাহী আদেশে সব কাজ করা যায়। পুরো প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে, নিরপেক্ষ প্রশাসন বলতে বাংলাদেশে এখন আর কিছু নেই।

ন্যায়বিচার সম্পর্কে রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেন, এই সরকারের কাছে এখন ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করা যায় না।

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতার ঘোষক কে তার রায় দেবে বাংলাদেশের জনগণ। কিন্তু আমরা দেখলাম সেই রায় দিচ্ছে আদালত।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করার জন্য আদালতকে ব্যবহার করছে।

সেমিনারে আলোচনা শেষে প্রশ্নোত্তোর পর্বে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন রুহুল কবীর রিজভী। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা মুজিবুর রহমান মজুমদার, গিয়াস আহমেদ, জিল্লুর রহমান জিল্লু, শরাফত হোসেন বাবু, গিয়াস উদ্দিন, জসিম উদ্দিন ভূইয়া, আবু সাঈদ আহমেদ, জাকির হাওয়লাদার। আয়োজকদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মাহমুদুর রহমান, বদরে আলম সাইফুল, সোহরাব হোসেন, মাহবুবুর রহমান অপু, শাহীন খান প্রমুখ।