1দৈনিক বার্তা: বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদান রাখার জন্য বিদেশি বন্ধু ও  সংগঠনকে দেওয়া ক্রেস্টে ভেজাল থাকার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো, মোশাররফ হোসাইন ভূইয়া  বলেছেন, ক্রেস্ট তৈরির বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কাজ ছিল না। তাই এ বিষয়টি তাঁর বলার বিষয় নয়।

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংকবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব এ কথা বলেন।

ক্রেস্টের স্বর্ণের ১২আনাই মিছে!’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে এক সাংবাদিক জানতে চাইলে মোশররাফ হোসাইন ভূঁইঞা বলেন, প্রত্যেকটি কাজের একটি বিভাজন থাকে। তাদের কাজ ছিল সাইটেশন ও দাওয়াত কার্ড তৈরি করা এবং আসন বিন্যাস করা। কিছু কাজ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়। তাই কে, কী করেছে সেটা আমার বলার বিষয় নয়।

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, শিল্পী-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্ট নাগরিক ও সংগঠনকে সম্মাননার সময় দেওয়া ক্রেস্টে যে পরিমাণ স্বর্ণ থাকার কথা ছিল, তা দেওয়া হয়নি। আর ক্রেস্টে রুপার বদলে দেওয়া হয় পিতল, তামা ও দস্তামিশ্রিত সংকর ধাতু।

জাতীয় মান সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) পরীক্ষায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সাত পর্বে দেওয়া ওই সম্মাননার তৃতীয় পর্বে ৬১ ব্যক্তি ও সংগঠনের জন্য তৈরি করা ক্রেস্ট সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অর্থাত্ মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিএসটিআইয়ের কাছে পরীক্ষার জন্য পাঠায়।

বিদেশিদের সম্মাননা প্রদান-সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা আছে, প্রতিটি ক্রেস্টে এক ভরি (১৬ আনা) স্বর্ণ ও ৩০ ভরি রুপা থাকবে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে করা বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় দেখা গেছে, এক ভরির (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) জায়গায় ক্রেস্টে স্বর্ণ পাওয়া গেছে মাত্র ২ দশমিক ৩৬৩ গ্রাম (সোয়া তিন আনা)। এক ভরির মধ্যে প্রায় ১২ আনাই নেই। আর রুপার বদলে ৩০ ভরি বা ৩৫১ গ্রাম পিতল, তামা ও দস্তামিশ্রিত সংকর ধাতু পাওয়া গেছে।