1দৈনিক বার্তা: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা সায়াদ ইবনে মোমতাজ সাদের হত্যাকারীদের বিচারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক গঠিত ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির ওপর অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকরা। মঙ্গলবারের মধ্যে আন্দোলনরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবী না মানলে বুধবার থেকে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে বলে তারা জানিয়েছেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটির ওপর অনাস্থা প্রকাশ করেন তারা। এদিকে খুনের সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ক্লাশ পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইদ্রিস মিয়া। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তদন্ত কমিটিতে আশরাফুল হক হলের প্রভোস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর থাকায় তদন্তের কাজ ব্যাহত হবে। দায়িত্বে অবহেলার কারণে অভিযুক্তদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত কমিটি গঠনের পরপরই উপাচার্যকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, রোববার মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকদের এক বৈঠকে কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এগুলো হলো হত্যাকারীদের আজীবন বহিষ্কার ও সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ আশরাফুল হক হলের প্রভোস্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টাকে পদ থেকে অব্যাহতি, তদন্ত কমিটি থেকে ওই হলের প্রভোস্ট ও সহকারী প্রক্টরের অপসারণ, বিশ্ববিদালয়ের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান, শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করে সাদ স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা।
এদিকে, সাদ হত্যাকান্ডের সপ্তম দিনেও উত্তাল রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। হত্যাকান্ডের বিচার দাবিতে সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয়’৭১ এর পাদদেশে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষক সমিতি ও মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মঙ্গলবারের মধ্যে তাদের সব দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। যদি এ সময়ের মধ্যে আশ্বাস বাস্তবায়ন করা না হয়, তাহলে বুধবার থেকে আন্দোলন জোরদার করা হবে।