3দৈনিক বার্তা:  নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে রাজ্যের পাঁচ জন পুলিশ সুপার ও একজন জেলাশাসককে সরানোর যে সদ্ধিান্ত কমিশন নিয়েছে, তা মানবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি৷ কংগ্রেসের ইশারায় নির্বাচন কমিশন ‘দালালি’ করছে বলে তার অভিযোগ৷ কমিশনের সদ্ধিানে্ত যারপরনাই ক্ষুব্ধ মমতা সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, জেলে যেতে হলে যাবেন, কিন্তু নির্বাচন কমিশনের এই সদ্ধিানে্তর তিনি শেষ দেখে ছাড়বেন৷
তার মন্তব্য নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সুনীল গুপ্তা কিছু বলব না জানিয়েও বলেন, সংবাদ মাধ্যমে এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হলে বা আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ জমা পড়লে আমরা তা অবশ্যই খতিয়ে দেখব৷’ নির্বাচন দফতর সূত্রের খবর, এমন ঘটনায় স্বাভাবিক নিয়মেই সংবাদপত্রের কাটিং দিতে কমিশনের সদর দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সিডিও কমিশন চেয়ে পাঠাতে পারে দিলি্ল থেকে কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন৷ অফিসারদের অপসারণের সদ্ধিান্ত ঘোষণার সময় সোমবার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নির্বাচনী প্রচারে৷ হুগলি বলাগড়ের সভা ছেড়ে পা-ুয়া যাওয়ার পথে তিনি নির্বাচন কমিশনের সদ্ধিানে্তর খবর পান৷
এর পর পা-ুয়া ও বর্ধমানের জামালপুরের সভায় তার ভাষণের সিংহভাগ জুড়েই ছিল নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা৷ জামালপুরে তিনি বলেন, বদলির ক্ষেত্রে আগে রাজ্য সরকার প্যানেল দিত৷ এখন ওরা নিজেরাই বদলি করে দিচ্ছে৷ ১০ জনপথ যা বলে দিচ্ছে, নির্বাচন কমিশন তাই করছে৷ মুর্শিদাবাদে অধীরকে জেতাতে দুই দফায় ভোট করছে৷ আসানসোলে বিজেপিকে রিগিং করার সুবিধা করে দিতে বর্ধমানে দুই দফায় ভোট করছে৷ দেবের কেন্দ্র ঘাটালে মানসকে জেতাতে এসপি বদল করছে, যাতে রিগিং করতে সুবিধা হয়৷’
ওই সভাতেই মমতা বলেন, লক্ষ&মণের গণ্ডি পার করেছে ওরা৷ এতদিন চুপ ছিলাম৷ হিংসারও একটা লিমিট আছে৷ আমি একজন মহিলা বলে সবাই জোট বঁেধে প্রতিশোধ নিচ্ছে৷ কংগ্রেস যদি কমিশনকে নিয়ে কলকাঠি নাড়ে, তবে আমি রেয়াত করব না৷ আমাকে জেলে যেতে হলে যাব৷’ যে অফিসারদের সরানো হয়েছে, তাদের হয়ে সওয়ালও করেন তৃণমূল নেত্রী৷ তিনি বলেন,
তোমাদের অফিসারদের নিয়েই কাজ করেছি৷ তাদের দিয়ে ভালো কাজ করানো যায়, তা আমি প্রমাণ করেছি৷ তারা কি এমন অন্যায় করেছেন যে তাদের সরিয়ে দিতে হবে৷’