4দৈনিক বার্তা: সুন্দরবনের গহীন অরণ্য থেকে অপহরণের পর দুই  সহোদর জেলেকে হত্যার দায়ে দুই বনদস্যু বাহিনীর প্রধানের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম সোলায়মান এই রায় প্রদান করেন।মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হল- বাগেরহাটের মংলার জয়মনি গ্রামের হাবিব মাতুব্বরের ছেলে বনদস্যু বাহিনীর প্রধান মো. জুলফিকার আলী ওরফে জুলফু ও একই উপজেলার আমড়াতলা এলাকার জালাল মোল্লার ছেলে অপর বনদস্যু বাহিনীর প্রধান অলি ওরফে রাজু ওরফে রতন। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত জুলফিকার বাহিনীর প্রধান জুলফিকার আলী জুলফু ও রাজু বাহিনীর প্রধান রাজু ওরফে অলি পলাতক ছিল। তবে সম্প্রতি সুন্দরবনের গহীনে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে জুলফিকার আলী জুলফু মারা যায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ আহরণের সময়ে ২০০৪ সালের ১৭ ও ১৮ অক্টোবর ১০-১২ জেলে ও ৯ টি নৌকা থেকে বনদস্যু বাহিনীর সদস্যরা জেলেদের মাছ ও মালামাল লুট করে নেয়। এ সময়ে ২ টি নৌকাসহ বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের মৃত মোকলেছ আলী হাওলাদারের ছেলে আনোয়ার হাওলাদার ও হারুন হাওলাদারসহ ৪ জেলেকে অপহরণ করে নেয়। পরে ২২ অক্টোবর সুন্দরবনের শেলা নদীর চর থেকে আনোয়ারের লাশ পাওয়া গেলেও আজও হারুনের লাশ উদ্ধার হয়নি। অপর ২ অপহৃত জেলে দেলোয়ার ও শাহজাহান ওরফে আব্দুল্লাহ পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসেন। এদের মধ্য থেকে শাহাজান আদালতে অপহরণের ঘটনায় রাজু বাহিনীর প্রধান রাজু ও জুলফিকার বাহিনীর প্রধান জুলফিকার জড়িত ছিল বলে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দী দেয়। এই ঘটনায় আনোয়ার ও হারুনের ভাই বাদশা হাওলাদার বাদী হয়ে মংলা থানায় অজ্ঞাত আসামীদের অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মংলা থানার এসআই মো. আবুল হোসেন ২০০৫ সালের ১২ ডিসেম্বর দণ্ডপ্রাপ্ত দুই বনদস্যু বাহিনীর প্রধানকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করে। মামলায় ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও ১৬৪ ধারা জবানবন্দীসহ বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্নের পর আদালত বৃহস্পতিবার এই রায় প্রদান করেন।