2দৈনিক বার্তা: ভারতে লোকসভা নির্বাচনের সময়, কোথাও নির্বাচনকে সামনে রেখে মাওবাদীদের হামলা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলোতে এই হামলা হচ্ছে এবং এতে ব্যাপক সংখ্যায় হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। এর ফলে ভোটের মুখে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোর ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির পাশাপাশি সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতের সমাজবাদী সশস্ত্র সংগঠন মাওবাদীরা নির্বাচন বর্জনের আহবান জানিয়ে ভোট বানচাল করার জন্য হামলা জোরদার করেছে। তাদের এ ধরনের সর্বশেষ হামলায় ছত্তিশগড় রাজ্যে ৪ সেনা নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।নির্বাচনের আগে ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরে বৃহস্পতিবার মাওবাদী হামলায় আধাসামরিক কোবরা বাহিনীর দুই সেনাসদস্য নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে পাঁচজন। গত বুধবার ভারতের প্রভাবশালী হিন্দি দৈনিক নয়া দুনিয়া অনলাইন সংস্করণে পুলিশের বরাত দিয়ে এক খবরে বলা হয়েছে, ছত্তিশগড়ের পৃথক দুটি জেলায় এই হামলা চালানো হয়েছে। প্রথম হামলার ঘটনাটি ঘটে সুকমা জেলায়। গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ভোটের কাজে ব্যস্ত একটি রাজনৈতিক দলকে মাওবাদী প্রভাবিত ওই এলাকায় পৌঁছাতে গিয়েছিল কোবরা বাহিনী। ফেরার পথে অলক্ষ্য থেকে গুলিবৃষ্টি শুরু হয়। তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলে তাদের ওপর হামলা চলে। ওই দলে প্রায় ১শ’ জন ছিল বলে পুলিশি সূত্রে জানানো হয়েছে। এলোপাথাড়ি ছোড়া গুলিতে দুই কমান্ডোর মৃত্যু হয়। দ্বিতীয় হামলাটি হয় বীজাপুর জেলায়। কড়া নিরাপত্তায় সত্ত্বেও তৃতীয় দফা ভোটের দিন সকালে মাওবাদী হামলায় আধা সামরিক বাহিনী সিআরপিএফ’র দুই জওয়ান নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৩ জন। ওই জেলার গাঙ্গলোর গ্রামের কাছে বীজাপুরের জঙ্গলে দুটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। মাওবাদীদের এই বিস্ফোরণে আহত হয় সিআরপিএফের ৫ জওয়ান। আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের এক কর্মকর্তা জানান, লোকসভা নির্বাচনের আগে নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে গাঙ্গলোক থানা এলাকায় নজরদারি চালানোর সময় ওই বিস্ফোরণ হয়। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে  দুটি জিপে করে জামুই কেন্দ্রের একটি বুথে যাচ্ছিলেন জওয়ানরা। ভীমবাঁধ জঙ্গলে ঢোকার মুখে সওয়া লাখ বাবা মন্দিরের কাছে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়। জামুই লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এলজেপি প্রধান রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ পাসওয়ান। তার মূল প্রতিপক্ষ বিহার বিধানসভার স্পিকার ও জেডিইউ নেতা উদয় নারায়ণ চৌধুরী। নির্বাচনের আগেই ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা।লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের মাওবাদী হামলার ঘটনা রাজ্যের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে বড়সড় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। অভিযুক্তদের সন্ধানে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী তল্লাশি চালাবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে। ওয়েবসাইট।