4দৈনিক বার্তা: ‘বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির অন্যতম বাজার হতে যাচ্ছে দুবাই। ইতোমধ্যে বেশ কিছু পণ্য দুবাইতে রপ্তানি হচ্ছে, যা দুবাই থেকে পুনঃরপ্তানি হচ্ছে আফ্রিকাসহ অন্যান্য দেশে। অন্যদিকে আরএকে সিরামিকসহ বেশ কিছু আমিরাতের পণ্য বর্তমানে বাংলাদেশের পারিবারিক পণ্য হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশের সাথে বিনিয়োগ আরো জোরদার করতে আগ্রহী আমিরাত সরকার।’ গতকাল ( ৯ এপ্রিল) দুবাইয়ের রেডিসন ব্লু হোটেলের হল রুমে বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন দুবাই সফররত বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘শিপিং এর ব্যাপারে আপনাদের সরাসরি আশ্বস্ত করতে না পারলেও রপ্তানির জন্য বড় এই বাজারের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে যখন বড় বাঁধা জাহাজ, তখন অবশ্যই এই বিষয়ে সরকারের সাথে আালাপ করবো।’

এর আগে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করতে গিয়ে দুবাইয়ে নিযুক্ত কর্মাশিয়াল কাউন্সিলর ড. মাহমুদুল হক বলেন, আমিরাত ও বাংলাদেশের কোন ডাইরেক্ট শিপিং লাইন নেই। রপ্তানির ক্ষেত্রে এটা বড় বাঁধা। এ কারণে বাংলাদেশ থেকে একটি পণ্য আসতে প্রায় ২১-২৫ দিন সময় লেগে যায়। আর শিপিং কোম্পানিগুলোর এককভাবে এখানে শিপিং লাইন অপারেট করাও সম্ভব না। সরকারি সহযোগিতা ও শিপিং মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে যদি আমিরাতের সাথে সরাসরি শিপিং লাইন চালু করা যায় তবে আমাদের দেশের বিনিয়োগ দুই বিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে দুই বছরও সময় লাগবে না।

মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, রপ্তানির উদ্দেশ্যে পণ্য বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরও সঠিক সময়ে এয়ারস্পেস না পাওয়ায় অনেক পঁচনশীল পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। রপ্তানিকারকদের জন্য এটা অনেক বড় সমস্যা। এজন্য এয়ারপোর্ট এলাকার আশপাশে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত এয়ার হাউজ ও সরকারীভাবে কাগ্রো পে্লইনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তাতে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাড়বে। তেমনি আমিরাতে প্রচুর পরিমাণ সবজিও রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কনস্যাল জেনারেল মাসুদুর রহমান, বাংলাদেশ সরকার থেকে সিআইপি সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যবসায়ী মাহতাবুর রহমান নাসির, এস.এম. নিজাম, আইয়ুব আলী বাবুলসহ আরও অনেকে।