2দৈনিক বার্তা: ভারত অভিন্ন নদী তিস্তা থেকে পানি সরিয়ে নিয়ে যে শোষণ নীতির পরিচয় দিয়েছেন তা ইতিহাসে বিরল। বর্ষার সময় ভারত গজল ডোবা ব্যারেজের গেট খুলে দিয়ে এ অঞ্চলকে পানিতে ডুবিয়ে দেন আর শুষ্ক মৌসুমে পানি আটকিয়ে মরুভূমিতে পরিণত করেন। তাই যত দিন পর্যন্ত ভারত তিস্তা নদীতে পানি দিবে না তত দিন পর্যন্ত এ  আন্দোলন চলবে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মত সংগঠিত হয়ে তিস্তার পানির অধিকার আদায় করতে হবে। আর এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।  গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বাম মোর্চার রোড মার্চ ঢাকা থেকে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে যাওয়ার পথে নীলফামারীর জলঢাকায় এক পথসভায় বক্তারা এ কথা বলেন। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের লক্ষ্যে গত ৮ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হওয়া গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে রোড মার্চ যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় নীলফামারীর জলঢাকা ট্রাফিক মোড়ে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড অধ্যাপক আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে এ পথ সভায় বক্তব্য রাখেন, বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক কমরেড জোনায়েদ সাকী, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহবায়ক কমরেড হামিদুল হক, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ’র ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক কমরেড ইয়াছিন মিয়া প্রমুখ। পথ সভায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার শতশত মানুষ অংশ নেয়। রোড মার্চটি ঢাকা থেকে বুধবার রাতে রংপুর এসে যাত্রা বিরতি দিয়ে সেখানে রাত্রি যাপন করেন। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর থেকে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। রংপুর  থেকে আসার পথে পাগলাপীর, বড়ভিটা হয়ে জলঢাকায় পথসভায় অংশ নেয়। বিকেল ৫টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টের পূর্ব প্রান্তে দোয়ানীতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।