4 দৈনিক বার্তা: নরওয়ের রাজধানী অসলোর তুষার ঢালে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তাকে। গত বছর ১৫ই ডিসেম্বর অসলোর শিল্প এলাকা থেকে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে। তিনদিন কোমায় থাকার পর জ্ঞান ফেরে তার। কিন্তু অতীতের কোন কিছুই মনে করতে পারছেন না তিনি। এমনকি স্মৃতিভ্রষ্ট হয়েছে নিজের নামও। আপাতত নিজের নাম দিয়েছেন জন স্মিথ। বৃটেনের ডেইলি মেইল তাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, উদ্ধারের পর ডাক্তাররা তার শরীরে বিভিন্ন ধরনের নেশাজাত দ্রব্যের নমুনা শনাক্ত করে। হাতের কব্জিতে ছিল কাটা চিহ্ন। এতে করে ধারণা করা হয়, তাকে হয়তো বেঁধে রাখা হয়েছিল। তিনি বলছেন, তিনি নরওয়ের নাগরিক নন, তবে হয়তো চেক হতে পারেন কেননা চেক ভাষাটি তিনি সবথেকে ভাল বোঝেন। এছাড়াও তিনি স্লোভাক, পোলিশ এবং রাশিয়ান বুঝতে পারেন। ভারী রাশিয়ান উচ্চারণে কথা বলেন তিনি। তবে তিনি চিন্তা করেন আর স্বপ্ন দেখেন ইংরেজিতে। নরওয়ের এনআরকে চ্যানেলকে তিনি বলেন, হাতের কাটা দাগগুলো গভীর ছিল। আঘাতগুলো সেরে উঠতে কয়েক মাস লেগেছে। আমার দু’হাত বেঁধে রাখা হয়েছিল সেটা মোটামুটি স্পষ্ট। আমি পুরোপুরি প্যারালাইজড ছিলাম এবং কথা বলতে পারতাম না। পুলিশ তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি ইন্টারপোলের কাছে দিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তদন্তে কোন কিছু পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, আমি অন্তত এটুকু জানি যে আমি অপরাধী নই। তাহলে তারা তেমন তথ্য খুঁজে পেত। আমার যখন চেতনা ফেরে, তখন পাশে একজন নার্সকে দেখতে পাই। আমি তাকে ইংরেজিতে কথা বলতে বলি। আমার কোন কিছুই মনে আসছিল না। বিষয়টা হাস্যকর ছিল, সে যখন আমার নাম জিজ্ঞাসা করে আমি নিজের নাম মনে করতে পারছিলাম না। অসলো পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছে, তার কাছে কোন পরিচয়পত্র ছিল না। নাম, কোথা থেকে এসেছে, কিভাবে নরওয়ে পৌঁছেছে এমনকি তার জীবনের কোন বিষয়ের কোন কিছুই মনে নেই তার। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ইউরোপের কোন স্থানের। ইস্টার্ন/সেন্ট্রাল ইউরোপের উচ্চারণে চমৎকার ইংরেজি বলেন তিনি। তার উচ্চতা ৬ফুট ১ইঞ্চি। চোখের রং নীল আর চুল স্বর্ণালী।