2দৈনিক বার্তা: রাশিয়াপন্থি বিক্ষোভকারীদের ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে ইউক্রেন। বলা হয়েছে, যেকোন উপায়ে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এ সমস্যার সমাধান করা হবে। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, পূর্বাঞ্চলের সঙ্কট সমাধানে রাজনৈতিক উপায় বেছে নিতে হবে না হলে তাদের ওপর শক্তি প্রয়োগ করা হবে। এমন হুমকি দিয়েছেন ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরসেন আভাকভ। ওদিকে লুহানস্কে নিরাপত্তা রক্ষা বিষয়ক অফিসের ভিতরে যারা রোববার থেকে অবস্থান করছিলেন তারা সেসব ভবন ছাড়তে শুরু করেছেন। ওদিকে সঙ্কট শুরুর পর প্রথমবার চতুর্মুখী বৈঠক হচ্ছে আগামী সপ্তাহে। বৈঠকে অংশ নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন। ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের অংশ ক্রাইমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে অঙ্গীভূত করার পর থেকে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তা ভাঙার জন্যই এই আলোচনা বৈঠক। ওদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সীমান্তে বাড়ানো হচ্ছে রাশিয়ার সেনা সংখ্যা। ক্রাইমিয়া রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দেয়ার পর ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর লুহানস্ক, দোনেৎস্ক ও খারকিভে রোববার রাশিয়াপন্থিরা বিক্ষোভ করে। তারা ওই শহরগুলোতে গণভোট দাবি করে। গণভোট সম্পন্ন হলে রায় অনুযায়ী তারা রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে চায়। জবাবে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরসেন আভাকভ বলেছেন, ওই তিনটি শহরে সন্ত্রাসী বিরোধী অভিযান চলছে। দু’দিনের মধ্যে তা শেষ হতে পারে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের হাতে দুটি পথ খোলা। এক হলো আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধান। অন্যটি হলো শক্তি প্রয়োগ। যারা আলোচনা ও রাজনৈতিক সমাধান চায় তাদের জন্য এই আলোচনা। কিন্তু যেসব সংখ্যালঘু সংঘাত চায় তাদের জন্য রয়েছে শক্তি প্রয়োগ। লুহানস্কে নিরাপত্তা বিষয়ক ভবনে যেসব সশস্ত্র সদস্য রয়েছে তারা সহায়তা চেয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের কাছে। এমন অবস্থায় ইউক্রেন সঙ্কটের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করছে ইউক্রেন সহ পশ্চিমা বিশ্ব। রাশিয়া উল্টো এ জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করছে। বলা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করছে।