পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে  ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্বিচারে চলছে ইলিশ শিকার

hilsa_0
দৈনিক বার্তা – ভোলা \\ মেঘনা-তেতুলিয়ায় মার্চ-এপ্রিল ২ মাস ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও নববর্ষকে সামনে রেখে অসাধু চক্র বেশী মুনাফার আশায় অবৈধ জাল দিয়ে নির্বিচারে মাছ শিকারে মেতে উঠেছে৷ জেলেদের আহরনকৃত এসব মাছ বিভিন্নভাবে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে৷ পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে স্থানীয় বাজারগুলোতে ইলিশের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও দাম বেশী হওয়ায় ক্রেতারা ইলিশ কিনতে পারছে না৷ মাছ ধরা বন্ধে মত্‍স্য বিভাগ কিংবা প্রশাসনের তেমন তত্‍পরতা নেই৷ তবে ডিবি পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে কিছু মাছ আটক করলেও তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে৷

স্থানীয় সূত্র গুলো জানিয়েছে,বছরের অন্য সময়গুলোতে ইলিশের চাহিদা কম থাকলেও পহেলা বৈশাখে ইলিশের চাহিদা বহুগুনে বেড়ে যায় ভোক্তাদের কাছে৷ এ বছরও এর ব্যাতিক্রম নয়৷ কিন্তু পহেলা বৈশাখ ও ইলিশ না ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা সময় একই সাথে হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারন ক্রেতা, মত্‍স্যজীবী ও পাইকাররা৷ তাই বেশী মুনাফার আশায় মত্‍স্যজীবীরা নদীতে মাছ শিকারে যাচ্ছেন৷ এসব মাছ স্থানীয় বাজারগুলোতে বিক্রি না হয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে৷ জেলেরা সামান্য দাম পেলেও বেশী লাভবান হচ্ছেন পাইকারী আড়ত্‍দার ব্যবসায়ীরা৷ ইলিশা কাঠির মাথার জেলে ফরিদ বলেন, তারা পেটের দায়ে নিষেধাজ্ঞা স্বত্বেও নদীতে মাছ শিকারে যাচ্ছে৷ কিন্তু সরকার যদি তাদের পূনর্বাসনে ব্যবস্থা করতো তা হলে যেতে হতো না৷ জেলেদের অভিযোগ সরকার তাদের জন্য ভিজিএফএর মাধ্যমে যে চাল দেয় তারা ঠিক মতো পায় না৷ নদীতে মাছ ধরতে গেলে কোষ্টগার্ড তাদের জাল মাছ ধরে নিয়ে যায়৷ প্রতি বছর ভোলা থেকে কোটি টাকার ইলিশ রপ্তানি হলেও ভোলাবাসীকে মাছ কিনতে হচ্ছে চড়া মূল্যে৷ চলতি বছরের মার্চ- এপ্রিল দু’মাস ইলিশের অভয়াশ্রমে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাজারে মাছ বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে৷ এক কেজি ওজনের এক হালি ইলিশ বিক্রি হয় ৫/৬ হাজার টাকা হালি৷ জেলা মত্‍স্য কর্মকর্তা প্রীতিষ কুমার মলিস্নক শিকার বন্ধে মত্‍স্য বিভাগের অভিযান তত্‍পরতার কথা জানালেও জনবল সংকট থাকায় ইলিশ ধরা হচ্ছে বলে স্বীকার করেন৷ এদিকে ভোলা ডিবি পুলিশ শনিবার সকালে ভোলা থেকে যশোরগামী বিআরটিসির একটি যাত্রীবাহি বাস থেকে ২ ঝুড়ি ঝাটকা ইলিশ আটক করেছে বলে জানান,ডিবি পুলিশের এসআই তাজ৷

ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ সেলিম রেজা বলেন, জাটকা ইলিশ সংরৰনের জন্য জেলেদের চাল বিতরনের ব্যবস্থা করেছেন৷ কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মত্‍স্য আহরনের সাথে জড়িত চক্র মাছ ধরার সাথে জড়িত৷ জাটকা সংরৰনে কঠের বিরম্নদ্ধে ব্যস্থা নেয়ার কথা তিনি উলেস্নখ করেন৷