2দৈনিক বার্তা: অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন আশা করছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আপিল বিভাগ থেকে খালাস পাবেন।

বুধবার শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত আপিল বেঞ্চ সাঈদীর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখার পর আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিমত ব্যক্ত করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।

সাঈদীর আইনজীবী প্যানেলের সিনিয়র সদস্য খন্দকার মাহবুব সাংবাদিকদের বলেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আমার মক্কেল সাঈদীকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। আশা করি, আমরা যেসব কাগজপত্র আদালতে দাখিল করেছি, তা পাঁচ বিচারপতি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই ন্যায়বিচার করবেন।’

তিনি বলেন, সাঈদীকে দুটি অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল থেকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। দুটি অভিযোগ হলো- ইব্রাহিম কুট্টি ও বিশাবালীকে হত্যা। ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যার বিষয়ে প্রসিকিউশন এবং বাদীর দায়ের করা মামলার সময় ও স্থানের ভিন্নতা রয়েছে।

খন্দকার মাহবুব আরো বলেন, ‘ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যার ঘটনাটি সত্য হতে পারে। কিন্তু তাকে হত্যা করেছে দেলাওয়ার শিকদার। আর দেলাওয়ার শিকদার এবং দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এক ব্যক্তি নন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আবেদন করেছিলাম ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যার বিষয়ে তার স্ত্রীর দায়ের করা মামলার মূল নথিপত্র বিচারিক আদালত থেকে তলব করা হোক। কিন্তু আদালত সে আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।’

সাঈদীর বিরুদ্ধে বিশাবালীকে হত্যা করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে সে বিষয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বিশাবালীর ভাই সুখরঞ্জন বালীকে প্রসিকিউশনের সাক্ষী করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি মিথ্যা সাক্ষ্য দেবেন না বলে সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে এসেছিলেন। অথচ তাকে ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে তুলে নিয়ে যায় সাদাপোশাকধারী লোকজন।

খন্দকার মাহবুব বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ৪০ বছর পর করা হচ্ছে। এখানে আসামি কতটা ন্যায়বিচার পেলেন, তা ইতিহাস হয়ে থাকবে এবং পরবর্তী প্রজন্ম তা গুরুত্বসহকারে দেখবে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় খন্দকার মাহবুব হোসেনের সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান ও তাজুল ইসলাম, সাঈদীপুত্র মাসুদ সাঈদী প্রমুখ।