1দৈনিক বার্তা: প্রেমিকাকে মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠানোর অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতা রাব্বী হাসানকে আজ সোমবার মারধর করেছেন ছাত্রলীগের কর্মী আসিফ।
আসিফ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও রসায়ন বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের ছাত্র। রাব্বী হাসান একই হলের শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
রাব্বী হাসানকে মারধরের পর আসিফ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ও আমার প্রেমিকাকে ডিস্টার্ব করেছে। আমার দল ক্ষমতায়, আমি তো মারবই।’
এক মাস আগেও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রাব্বীকে মারধর করে হল থেকে বের দিয়েছিলেন।
আসিফের দাবি, পয়লা বৈশাখে রাব্বী তাঁর প্রেমিকাকে ‘শুভ নববর্ষ’ লিখে একটি খুদে বার্তা পাঠায়। খুদে বার্তার প্রেরক রাব্বী কি না, একাধিকবার জানতে চাইলেও রাব্বী তা অস্বীকার করেন।
এ ঘটনার জেরে আসিফ আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রাব্বীকে মুঠোফোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে আসতে বলেন। আসার পর যে নম্বর থেকে খুদে বার্তাটি এসেছিল, সে নম্বরে ফোন করলে রাব্বীর মুঠোফোন বেজে ওঠে। এরপর আসিফসহ ছাত্রলীগের চারজন কর্মী স্টাম্প ও বেল্ট দিয়ে রাব্বীকে মারধর করেন। মারধরের পর আসিফ নিজেই রাব্বীর বন্ধুদের ফোন করে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। তাঁরা রাব্বীকে আহত অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
রাব্বীকে মারধরকারী ছাত্রলীগের অপর তিন কর্মী হলেন উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ৪০তম ব্যাচের সৌরভ, পরিসংখ্যান বিভাগের ৪০তম ব্যাচের আরমান ও ৪১তম ব্যাচের ফরহাদ। তাঁরা সবাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খুদে বার্তা পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করে রাব্বী দৈনিক বার্তাকে বলেন, ‘যদি আমি ওর প্রেমিকাকে ডিস্টার্ব করতাম তাহলে সেপ্রক্টরের কাছে অভিযোগ দিতে পারত। কিন্তু তা না করে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য “মিথ্যা” অভিযোগ এনে আমাকে মারধর করেছে।’
জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর মেহেদী ইকবাল দৈনিক বার্তাকে বলেন, ‘কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। আমরা আসিফের বক্তব্য শুনেছি। উভয় প ক্ষের বক্তব্য শুনে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।’
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৯ মার্চ রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক বিপুলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী রাব্বীকে মারধর করে হল থেকে বের দেন।