1টিপু সুলতান/দৈনিক বার্তা: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে আওয়ামীগের দু, নেতার এলাকায় আধিপত্ত বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে শতাধিক বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার বাড়ি ছেড়ে অন্যাত্র চলে গেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে ও বৃহস্পতিবার রাতে মালেক মোল্লার লোকজন আবার ও লুটপাট এবং বাড়ি ভাংচুর  করেছে। এলাকায় আতংকিত সৃষ্টি জন্য দফায় দফায় বোমা বিষ্ফোরন ঘটাচ্ছে। গতকাল সকালে ওহাব মন্ডলের বাড়িতে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে।
ভুক্তভোগিরা জানায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ৪০/৫০ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে ৮াট বাড়িতে হামলা করে গরু, ছাগল, চাউল, স্যালো মেশিন ও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সনদ পত্র পর্যন্ত নিয়ে যায়। গতকাল সারাদিন ৮/১০টি মটর সাইকেলে ২০/২৫ জন গোপালপুর গ্রামের মধ্যে টহল দিয়ে বোমা ফাটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে রাখে। কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আওয়ামীলীগ সমর্থক আব্দুল মালেক মোল্লা ও শরিফুল মোল্লার মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে র্দীর্ঘ দিন ধরে হামলা, লুটপাট সংঘর্ষ হয়ে আসছে। এরই জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উল্লা, তালিয়ান, দুধরাজপুর ও ভিটশ্বর গ্রামের ৫ শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গোপালপুর গ্রামের আ’লীগ নেতা ও ইউপি মেম্বার শরিফুল মোল্লা ও তার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা করে ভাঙ্গচুর করে। এসময় তারা গোপালপুর গ্রামের বাবলুর রহমান, আলমগীর হোসেন, হায়দার আলী, আনছার আলী মোল্লা, মোলাম আলী, নায়েব আলী, সাহেব আলী, পিষ্টন, আবজাল হোসেন, আমানত আলী, মোফাজ্জেল হোসেন, আব্দুল গফুর, সিরাজুল ইসলাম, আলম হোসেন, আমির হোসেন, সমশের মন্ডল, আব্দুর রাজ্জাক এবং নিজাম উদ্দীনসহ অর্ধশত বাড়িতে ব্যপক ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করে নিয়ে ।
লুট করা গরু, ছাগল, হাস, মুরগি জবাই করে আইন শৃংখলা রক্ষাকারি পুলিশদের আপ্যায়ন করাচ্ছে মালেক মোল্লার লোকজন। এদিকে প্রায় দেড় শতাধিক জমিতে দন্ডায়মান ধানের জমিতে থাকা স্যালো মেশিন লুট করে নিয়ে যাবার কারনে উক্ত জমিতে পানি দিতে পারছেনা। চলতি বিএ পরীক্ষাথী নাজমুল ইসলামের এস এসসি, এইস এসসি ও বিএ পরীক্ষার প্রবেশ পত্র নিয়ে যাবার কারনে সে হতাস হয়ে পড়েছে এবং তাদের জমির সকল দলিল পর্যন্ত নিয়ে গেছে। দেড়শতাধিক পরিবারের নারি পুরুষ কেউ বাড়িতে নেই, প্রতিটি বাড়ি এখন জনশুন্য অবস্থায় রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাক্তিরা জীবনের ভয়ে বাড়িতে যেতে পারছে না।
উল্লেখ্য গতকাল বিকালে ঝিনাইদহ ৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আলম ঠান্ডু বিষয়টি নিরসন করার জন্য গোপালপুর গ্রামে যান।