BHOLA PIC -02 copyদৈনিক বার্তা: ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন,উন্নয়ন মূলক কাজ নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক না। বর্তমান সরকারের সময়ে প্রধান মন্ত্রী ৩ হাজার মেঘাওয়াট থেকে ১১ হাজার মেঘাওয়াটে বিদ্রুৎ উন্নিত করেছে। তিনি বলেন বর্তমান সরকার গ্রাম গঞ্জে উন্নতির জন্য যে পদক্ষেপ নিয়েছে অতীতের কোন সরকার  তা নেয়নি।  কিন্তু আমাদের দুরভাগ্য হরতাল অবরোধে নামে আমাদের দেশে অনেক ক্ষতি করা হয়েছে। আগামীতে ঐক্যবধ্য থেকে জনগনকে সহায়তা করার জন্য আহবান জানান।
শুক্রবার দুপুরে  ভোলায় গ্যাস ভিত্তিক ৩৪.৫ মেগাওয়াট  বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অতিরিক্ত ২৪ মেগাওয়াট নবস্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিক্ষামূলক চালুকরন অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন কালে বানিজ্য মন্ত্রী ও ভোলা-১ আসনের সাংসদ তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ভোলা খেয়াঘাটের কাছে স্থাপিত বিদ্যুৎ প্লান্টে উদ্বোধনী অনুষ্ঠনে বানিজ্য মন্ত্রী বলেন, ভোলাতে প্রচুর গ্যাস মজুদ রয়েছে। এ গ্যাসের উপর নির্ভর করে শিল্পকারখানা স্থাপিত হলে জেলার বেকার সমস্যা দুর হবে। ইতি মধ্যেই ভোলা বিদ্যুৎ সমস্যার দুর করা হয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে ঠাকা বরাদ্ধ হয়ে গেছে। খুব শিগ্রই নদী ভাঙ্গন রোধ হবে। নেদারল্যান্ড সরকার নদী ভাঙ্গন রোধে যতো টাকা লাগে তা দিবে।  বিভিন্ন উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের মধ্যে দ্বীপজেলা ভোলাই হবে সবচেয়ে উন্নয়নশীল জেলা। তিনি বলেন,ভোলা খেয়াঘাট ব্রিজের কাছে গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০০১ সনের ১২ জুলাই ২০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্টের ভিত্তি প্রস্থ স্থাপন করি। কিন্তু বিএনপির ক্ষমতায় আসার পর তা বন্ধ করে দেয়া হয়।  তিনি বলেন,সেই দিন আর দূরে নয়,গাড়িতে চরে ফেরী ছাড়াই সড়ক পথে অন্য জেলায় যাওয়া যাবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন, বিদ্যুৎ সচিব এন.ডি.সি. মনোয়ার হোসেন ও ভেঞ্চার এনার্জি রিসোর্সেস লিমিমটেডের চেয়ারম্যান  আনিসুর রহমান সিনহা, ভোলা জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুল মমিন টুলু,প্লান্টের পরিচালক  (টেকনিকেল) এটি এম নাদিরুজ্জামান। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ সেলিম রেজা,  উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনসহ জেলার সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতক ও শহরের বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ। অনুষ্ঠনে বিদ্যুৎ প্লান্টের কর্মকর্তারা জানান,পুরাতন গ্যাস টারবাইন ৩৪.৫ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র আগামী ২৮/২৯ তারিখের মধ্যে উৎপাদনে যাবে। এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫৪ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে।