1দৈনিক বার্তা : সিরাজগঞ্জে সিএনজি অটোরিকসা ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে অন্তত ৫ জনকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় অন্তত ১০ সিএনজি চালিত অটোরিকসা ও ২টি বাস ভাংচুর করা হয়। পুলিশ টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনার পর থেকে জেলার সকল রুটে বাস ও অটোরিকসা চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পুলিশ ও শ্রমিকরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর সড়কে সাইড দেয়া নিয়ে সিএনজি অটোরিকসা চালকের সাথে বাসের শ্রমিকদের সাথে হাতাহাতি হয়। ঘটনার জের ধরে বাস শ্রমিকরা কড্ডার মোড় এবং মিরপুর এলাকায় অটোরিকসা শ্রমিকদের মারধর করলে অটোরিকসা শ্রমিকরা ২টি বাস ভাংচুর করে। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার সকালে বাস শ্রমিকেরা কড্ডার মোড়, রেলগেট ও শিয়ালকোল এলাকায় সিএনজি অটোরিকসা ভাংচুর ও চালকে মারপিট করে। পরে সিএনজি অটোরিকসা শ্রমিকেরা মিরপুর এলাকায় ২টি বাস ভাংচুর করলে বাস শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষ হয়। দুই দিনের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। পরে বাস শ্রমিকেরা সিরাজগঞ্জ এম এ মতিন বাসটার্মিনালের সামনে সিরাজগঞ্জ-বগুড়া মহাসড়কে অবস্থান নিলে যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ সময়র বাস শ্রমিকেরা বাস দিয়ে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিলে পুলিশ এসে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। বাস শ্রমিকেরা দাবি করেছে পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে বাস শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক মিঠু সহ অন্তত ২০ শ্রমিক আহত হয়েছে। পরে পুলিশ বাস গুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে ২ ঘন্টা পর সড়ক দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। ঘটনার পর থেকে সিরাজগঞ্জ জেলার অভ্যন্তরীণ সকল রুটে বাস ও সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল ব্ন্ধ রয়েছে। ঊভয় পরিবহন সংগঠনের শ্রমিকদের মধ্যে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
> বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী জানান, উত্তেজিত শ্রমিকদের বর্তমানে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। মিমাংশার জন্য আলোচনা চলছে। পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে বাস শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক মিঠু সহ অন্তত ২০ বাস শ্রমিক আহত হয়েছে।
> অপর দিকে অটোরিকসা ইউনিয়নের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে বাস শ্রমিকদের হামলায় ১০টি সিএনজি চালিত অটোরিকসা ভাংচুর সহ অন্তত ১০ জন চালককে মারপিট করে আহত করা হয়েছে। সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত সকল রুটে সিএনজি অটোরিকসা বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। আবারো সংঘর্ষের আশংকায় বাসট্যান্ড এলাকায় পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।